Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

২০১৩ সালে ৬২ হাজার বিদেশি শ্রমিক নিবে কোরিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট, ৩ জানুয়ারী ২০১৩, সিউলঃ 
কোরিয়া গত বছরের চেয়ে এই বছর বিদেশী শ্রমিকের কোটা বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। কোরিয়ার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আজ বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেয়। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ম্যানুফ্যাকচারিং, ফার্মিং,  ফিশারিং এবং কনস্ট্রাকশনে বিদেশি শ্রমিকের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে।

৬২ হাজার শ্রমিকের মধ্যে ৫২ হাজার ইপিএসের অধীনে বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশ থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। অন্য ১০ হাজার বর্তমানে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে যাদের মেয়াদ এই বছরেই শেষ হচ্ছে তাদের মধ্য থেকে নেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে এসব শ্রমিকদেরকে অবশ্যই আগের কর্মস্থলে দক্ষতার সাথে কাজ করেছেন এমন রেকর্ড থাকতে হবে।

chardike-ad

উল্লেখিত ৫২ হাজার কর্মীর মধ্যে ইতিমধ্যে ৬ হাজার কর্মী নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে উক্ত কর্মীরা কোরিয়ায় কর্মস্থলে যোগদান করবে। অন্য ৪৬ হাজার কর্মী নিয়োগের জন্য কোরিয়ার বিভিন্ন কোম্পানীর কাছে ইতিমধ্যে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৪ এবং ১৫ জানুয়ারী কোম্পানীগুলো পুরো বছরের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবে। তারপরেই কোরিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয় বাংলাদেশসহ ইপিএস চুক্তিভুক্ত ১৫টি দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করবে।

উল্লেখিত ৪৬ হাজার কর্মীর মধ্যে ৩৭ হাজার ৬০০জন ম্যানুফ্যাকচারিং, ৪ হাজার ৬০০ জন ফার্মিং, ২১৫০ জন ফিশারিং, ১৫৬০ জন  কনস্ট্রাকশন এবং ৯০ জন সার্ভিস সেক্টরে নিয়োগ পাবেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। কোন দেশ থেকে কত শ্রমিক নেওয়া হবে এই রকম কোন সুনির্দিষ্ট কোন কোটা না থাকায় বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করে কারখানা বা কোম্পানীর মালিকদের উপর। বাংলাদেশী শ্রমিকদের দক্ষতার সাথে কাজের কারণে অনেক কোম্পানীতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও ঘন ঘন কর্মস্থল পরিবর্তন করার কারণে অনেক কোম্পানী বাংলাদেশি শ্রমিক নিতে অনীহাও দেখায়।