Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষার সংস্কারে নতুন নীতিমালা হচ্ছে

অনলাইন প্রতিবেদক, সিউল, ১৩ নভেম্বর ২০১৩:

দক্ষিণ কোরিয়া সরকার দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে পাঁচ স্তরবিশিষ্ট একটি মানদণ্ড প্রনয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ মানদণ্ডে দ্বিতীয় কিংবা তার নীচের স্তরসমূহে স্থান পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মান অনুযায়ী শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমাতে বাধ্য করা হবে। ২০১৫ সাল থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এ ব্যবস্থায় কোরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ‘খুব ভালো’, ‘ভালো’, ‘মোটামুটি’, ‘খারাপ’ ও ‘খুব খারাপ’ এই পাঁচটি শ্রেণীতে বিভক্ত হবে। শ্রেণীবিভাগের পর প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বেচ্ছায় শিক্ষার্থী সংখ্যা কর্তনের সুযোগ দেয়া হবে এবং বাকিদেরকে তা করতে বাধ্য করা হবে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ধরণ ও অবস্থান বিবেচনা করে শিক্ষার্থী হ্রাসের বিস্তারিত নীতিমালা চূড়ান্ত করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

chardike-ad

nzFInoSnSJjTJcqOHhkEপ্রস্তাবিত মানদণ্ডে একেবারে নীচের স্তরে স্থান পাওয়া মৃতপ্রায় কিংবা দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার দায়ে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ চিরতরে বন্ধ করে দেয়া হতে পারে। নীতিমালা প্রণয়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত গবেষণা দলের প্রধান সুংকিউনকান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক বে সাং হুন বলছিলেন, “বন্ধ হয়ে পড়ার উপক্রম বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে হয় পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হবে নতুবা সংস্কারের উপযোগী হলে নতুন করে প্রাণ সঞ্চারের চেষ্টা করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “নিম্নমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রাষ্ট্রীয় বৃত্তিসহ সরকারী অনুদানের পরিমাণ সীমিত করে দেয়া হতে পারে।”

পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে একটি স্বাধীন কমিশনও গঠন করা হবে। তবে তারপরও আঞ্চলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসমূহ অবমূল্যায়নের শিকার হতে পারে বলে আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। তাঁদেরই একজন কোরিয়ান কাউন্সিল ফর ইউনিভার্সিটি এন্ড কলেজ এডুকেশনের প্রধান হং ইয়ং কি। তাঁর ভাষ্য, “প্রাদেশিক কলেজগুলোতে কয়েক বছর ধরে নতুন ছাত্র ভর্তির হার এমনিতেই হ্রাস পাচ্ছে। আমরা উচ্চশিক্ষার গুণগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করছি না। কিন্তু স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানোন্নয়নে সরকারের বাড়তি সহযোগিতাও প্রয়োজন।”