২০০৩ সালে ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনী ইরাক দখল করার পর এই কারাগারটিতে বন্দিদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছিল দখলদার সেনারা। ওই পাশবিক নির্যাতনের কিছু ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। অবশ্য মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের হস্তক্ষেপে আবু গারিব কারাগারে নির্যাতনের মূল ছবিগুলো কখনোই প্রকাশিত হয়নি।
ইরাকের বিচার মন্ত্রণালয় অনলাইনে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছে, বাগদাদ কেন্দ্রীয় (সাবেক আবু গারিব) কারাগার পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কারাগারটির বন্দিদের অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। ইরাকের বিচারমন্ত্রী হাসান আল-শামারি বলেছেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আগাম পদক্ষেপ হিসেবে কারাগারটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আবু গারিব কারাগারটি রাজধানী বাগদাদ থেকে দাঙ্গা কবলিত ফালুজা শহরে যাওয়ার পথে অবস্থিত। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে শত শত জঙ্গি বাগদাদের আবু গারিব ও তাজি কারাগারে হামলা চালিয়ে কয়েকশ’ সন্ত্রাসীকে মুক্ত করে নিয়ে যায়। জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন ৫০ জনেরও বেশি বন্দি ও কারারক্ষী। উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড দ্যা লেভ্যান্ট বা ইসিল ওই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে। খবরঃ রেডিও তেহরান।