সিউল, ২৯ মে ২০১৪:
মিশরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রত্যাশিত জয় পেতে চলেছেন সাবেক সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুরসিকে গত জুলাই মাসে ক্ষমতাচ্যুত করার পর এটিই প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।মুসলিম ব্রাদারহুড ও ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধী দলগুলো এ নির্বাচন বর্জন করেছে।
বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রকাশিত বেসরকারি ফলাফলে তিনি ৯৬ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বলে জানা গেছে।এ পর্যন্ত ৩৫২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩১২টিতে ভোট গণনা হয়েছে।নির্বাচনে তার একমাত্র প্রতিদ্ব›ন্দ্বী বামপন্থী প্রার্থী হামদিন সাবাহি মাত্র ৩ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
সমর্থকরা সিসি’কে এমন একজন নায়ক হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন যিনি মিশরের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এনে দিতে পারবেন।কিন্তু নির্বাচনে জনগণ তেমন সাড়া না দেয়ায় নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে সিসি’র গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
নির্বাচন কমিটির একজন কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনে মোট ৫ কোটি ৪০ লাখ ভোটারের মধ্যে ২ কোটি ৫০ লাখ বা ৪৬ শতাংশ লোক ভোট দিয়েছেন।২০১২ সালে মুরসি যে নির্বাচনে জিতেছিলেন, তাতে ৫২ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছিলেন।
মিশরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মঙ্গলবার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় শেষ মুহূর্তের সিদ্ধান্তে তা আরো একদিন বাড়ানো হয়।জনৈক নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত মাত্র ৩৭ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
বিজয়ের খবর প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশটির রাজধানী কায়রোয় আঁতশবাজি ফুটিয়ে উল্লাস শুরু করে সিসি’র সমর্থকরা।রাজধানীর ব্যস্ততম রাস্তায় মিশরীয় পতাকা উড়িয়ে ও গাড়ির হর্ন বাজিয়ে উৎসবের আবহ ছড়িয়ে দেয়।বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কায়রোর তাহরির স্কয়ারে বিজয় উৎসবে মত্ত ছিল তারা।