Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইরাক সংকট : পারস্য উপসাগরে মার্কিন জাহাজ, সহায়তার প্রস্তাব ইরানের

সিউল, ১৬ জুন ২০১৪:

ইরাকে চলমান সংকটের প্রেক্ষাপটে সামরিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে পারস্য উপসাগরে তিনটি রণতরী পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল শনিবার কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান বহনকারী যুদ্ধ জাহাজ ইউএসএস জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশসহ আরও দুটি যুদ্ধ জাহাজ উত্তর আরব সাগর থেকে উপসাগরের দিকে যাত্রা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিমানবাহী এ ইউএসএস জর্জ এইচডব্লিউ রণতরীতে কয়েক ডজন জঙ্গিবিমান রয়েছে। এছাড়া, ১ লাখ ৩০ হাজার টন ওজনের এ যুদ্ধ জাহাজের সঙ্গে গাইডেড মিসাইলবাহী ক্রুজার ইউএসএস ফিলিপিন সি এবং গাইডেড মিসাইলবাহী ক্রুজার ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস টরুঙ্টুনও রয়েছে বলে এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানিয়েছে। এদিকে ইরাকে বিভিন্ন শহর পুনর্দখল করতে আল কায়দা মদদপুষ্ট সুন্নি বিদ্রোহীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। শিয়া মুসলিম ও কুর্দি মিলিশিয়ার সহায়তায় নিরাপত্তা বাহিনী বাগদাদ অভিমুখী বিদ্রোহীদের অভিযান ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এর মধ্যে সালাউদ্দিন ও দিয়ালা প্রদেশের বেশ কয়েকটি শহর বিদ্রোহীদের কাছ থেকে পুনর্দখল করে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। রোববার নিরাপত্তা বাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছে, তারা ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৩০০ বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে। তবে ইরাকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর মসুল ও তিকরিত এখনও আইএসআইএল বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এদিকে শিয়াদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি আল সিস্তানির আহ্বানে হাজার হাজার শিয়া-সুন্নী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছে।

chardike-ad

image_37_7381গেল মঙ্গলবার আল কায়দার মদদপুষ্ট সুনি্নপন্থী ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড লেভেন্ট (আইএসআইএল) বিদ্রোহীরা ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী মসুল দখল করে নেয়। বিদ্রোহীরা একের পর এক শহর দখল করে রাজধানী বাগদাদ আক্রমণের হুমকি দিয়েছে। রোববার ইরাক থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, সরকারি বাহিনী সামারা শহরে নিজেদের সংগঠিত করতে শুরু করেছে। তারা সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের শহর তিকরিত পুনর্দখল নিতে প্রস্তুতি শুরু করেছে। ইরাকি বাহিনীর হাতে পুনর্দখল হওয়া শহরগুলোর পথে পথে বিদ্রোহীরা তান্ডবের চিহ্ন রেখে গেছে। নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, ইসাক শহর থেকে তারা ১২ পুলিশের দগ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে। রোববার সকালে বাগদাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বাকুবা শহরে তিন ইরাকি সেনা ও তিন শিয়া মিলিশিয়ার লাশ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বাকুবার একটি সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে মর্টার হামলা চালিয়ে বিদ্রোহীরা এ হত্যাকান্ডে চালিয়েছে। এছাড়া সালাউদ্দিন প্রদেশে শত শত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করার ছবি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে বিদ্রোহীরা। বিবিসি, রয়টার্স, এএফপি।

এদিকে শিয়াপন্থী ইরান বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে সুন্নি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলে তারা তাদের চিরশত্রু ওয়াশিংটনকে সহায়তার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, ইরাক সংকট মোকাবেলায় তার সরকার সহায়তা করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি দেখি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাহলে বিষয়টি ভেবে দেখা যেতে পারে।’