Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ওষুধ নিয়ে ১০টি পরামর্শ

সিউল, ৪ জুন ২০১৪:

রোগ নির্ণয়ের আগেই উপসর্গের শুরুতে নিজের ইচ্ছামতো, অনুমান করে কিংবা ফার্মেসির দোকানির দেয়া ওষুধ সেবন করবেন না। সর্দি-জ্বর, শরীরে ব্যথা হলে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট দেয়া যেতে পারে, তবে দু-তিন দিনে অবস্থার পরিবর্তন না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

chardike-ad

* সর্দি-কাশিতে টানা কয়েক দিন ধরে অ্যান্টিহিস্টামিনজাতীয় ট্যাবলেট, সিরাপ সেবন করা ঠিক নয়। গলা খুসখুস করলে অ্যান্টিহিস্টামিন না খেয়ে গরম পানির গড়গড়া করলে উপকার পাবেন। হিস্টাসিন জাতীয় ওষুধ গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের মধ্যে সেবন করলে ঘটতে পারে শিশুর জন্মগত ত্রুটি।

download (5)* চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। একসঙ্গে একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক সেবন না করাই ভালো। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অর্থাৎ পুরো কোর্সটি সম্পূর্ণ খাবেন। কিছুটা ভালো হওয়ার পর অ্যান্টিবায়োটিক বাদ দেবেন না, এতে ওষুধটি পরে আর শরীরে কাজ করবে না।

* স্টেরয়েড ও স্টেরয়েডযুক্ত চোখের ড্রপ, ত্বকের মলমও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে কিনে ব্যবহার করবেন না। অ্যাজমা বা হাঁপানি, শ্বাসকষ্টের অসুখসহ দীর্ঘমেয়াদি রোগে স্টেরয়েড তাড়াতাড়ি উপশম এনে দিলেও শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবন করবেন না।

* শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক সিরাপ একবার তৈরির পর খাওয়া শেষে অবশিষ্ট অংশ সংরক্ষণ করবেন না। শিশুদের ক্ষেত্রে ন্যালিডাঙ্কি এসিড, সিপ্রোফ্লক্সোসিলিন, কিশোর বয়সীদের ক্ষেত্রে টেট্রাসাইক্লিন খুব সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। বাসায় সব ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

* দীর্ঘদিন একই কারণে একই ওষুধ খাওয়া চালিয়ে যাবেন না। ওষুধ খাওয়ার পর যদি আপনার আরোগ্য লাভ না হয় তবে সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ বন্ধ করে দিন। ওষুধ খাওয়ার পর যদি অস্বস্তি বোধ করেন বা অন্য কোনো সমস্যা দেখা দেয় তবে নিকটস্থ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

* পুড়ে গেলে মলম না লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে জায়গাটি ধুয়ে পেট্রোলিয়াম জেলিযুক্ত গজ লাগাতে পারেন। জায়গাটি না ঢেকে বাতাস চলাচলের জন্য খোলা রাখুন।

* মচকে গেলে বা ব্যথা পেলে প্রথমে ঠান্ডা পানি দেবেন, পরে গরম সেঁক দিতে পারেন। ব্যথার মলম দেয়ার দরকার নেই। ব্যথার জন্য অযথা অতিরিক্ত ব্যথানাশক ইনজেকশন নেবেন না। ব্যথার ওষুধ (ডাইক্লোফেনাক জাতীয়) খেয়ে আলসারে আক্রান্ত স্থানের নাড়ি ফুটো হয়ে সমস্যা হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরে ক্লোফেনাক ওষুধ খেলে শরীরে বিভিন্ন স্থান থেকে রক্তক্ষরণ ঘটতে পারে।

* নাক দিয়ে পানি পড়লেই নাকের ড্রপ ব্যবহার করবেন না। গরম পানিতে সামান্য একটু মেনথল দিয়ে ভাপ নিলে উপকার পাবেন।

* ওষুধ চলাকালে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, যেমন-শরীরে লাল দাগ বা দানা, চুলকানি, চামড়ায় ফুসকুড়ি দেখা দিলে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ওই ওষুধটির নাম মনে রাখবেন, যাতে পরে আপনি চিকিৎসককে বলতে পারেন।

মোঃ আরিফুর রহমান ফাহিম, সহকারী অধ্যাপক, ফার্মেসি বিভাগ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।