Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দক্ষিণ কোরিয়ায় আয় বৈষম্য দ্রুত বাড়ছে

সিউল, ১৬ জুন ২০১৪:

প্রায় আড়াই দশকে দক্ষিণ কোরিয়ার আয় বৈষম্য দ্বিগুণ হয়েছে। গতকাল রোববার দেশটির পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ১৯৯০ সালে এখানকার শহুরে পরিবারগুলোর গড় মাসিক আয় ছিল ২১ লাখ উন। কিন্তু গত বছর তা বেড়ে ৩৯ লাখ ওনে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের যেসব দেশে এ সময়ের মধ্যে শীর্ষ ও নিম্ন আয় উপার্জনকারীদের মধ্যে ব্যবধান উল্লেখযোগ্যহারে বাড়ছে, তাদের মধ্যে অন্যতম অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। ১৯৯০ থেকে ২০১৩ এ সময়ের মধ্যে দেশটির জিনি কোইফিশিয়েন্ট সূচক দশমিক ২৫৬ থেকে বেড়ে দশমিক ২৮০তে এসে দাঁড়িয়েছে। খবর ইয়নহাপের।

chardike-ad

Gini_definitionউল্লেখ্য, আয় বৈষম্যের অন্যতম পরিমাপক জিনি কোইফিশিয়েন্টের রিডিং যদি শূন্যের ঘরে থাকে, তবে সে সমাজে আয় সমতা রয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। আর যদি সূচক ১-এর কাছাকাছি থাকে তবে তা ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ব্যবধান বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। ২০১৩ সালে দেশটির জিনি কোইফিশিয়েন্টের অবস্থান ছিল দশমিক ৩০২-এ।
সম্প্রতি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯০ থেকে ২০১০ পর্যন্ত  এশিয়ার ২৮টি দেশের মধ্যে যেসব দেশে সূচক বেড়েছে তার মধ্যে পঞ্চম বৃহত্তম অবস্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়া। এর আগে রয়েছে চীন, ইন্দোনেশিয়া, লাউস এবং শ্রীলংকা।

২০১২ সালে দেশটির শীর্ষ ১ শতাংশ ধনীর আয় ছিল ২৯০ মিলিয়ন ওনেরও বেশি, যা দেশটির সব শ্রমিকের গড় বার্ষিক বেতন ১৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন উনের তুলনায় ১৭ দশমিক পাঁচ গুণ বেশি।বিশ্লেষকরা বলছেন, যেভাবে দেশটিতে ধনী এবং দরিদ্রদের মধ্যে আয় বৈষম্য বাড়ছে এতে দেশটির প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক পলিসির কর্মকর্তা লি দোংউন বলেন, ‘আয় বৈষম্য যদি আরো খারাপ অবস্থানের দিকে যায় তবে ভোক্তা আস্থা আরো দুর্বল হয়ে পড়বে। বিশেষ করে ব্যয়ের অংশ যাদের সবচেয়ে বেশি সেই মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আস্থা কমবে উল্লেখযোগ্যহারে।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) তাদের এক প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানায়, আয় বৈষম্য বাড়লে তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে কমিয়ে দেবে। সেই সঙ্গে টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য তা হুমকিস্বরূপ।