Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইবোলা ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকাতে ৫ টি টিপস

ইবোলা বিশ্বের অন্যতম ক্ষতিকর ভাইরাস হলেও তা ফ্লু’র মতো বাতাসের মাধ্যমে সংক্রামিত হয় না। ডাক্তারদের দাবি নিচের টিপসগুলো অনসুরণ করলে এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে-

১. সাবান ও পানি:

chardike-ad

সাবান ও পরিষ্কার পানি দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়ার পর পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুছে নেবেন। গ্রামে-গঞ্জে বা বস্তিতে পরিষ্কার পানির অভাবে এই কাজটি কঠিন হলেও ভাইরাস নির্মূলেই এটি বেশ কার্যকরী। সাধারণ সাবান হলেও চলবে।

প্লান ইন্টারন্যাশনালের ড: উনিস ক্রিশনান বিবিসিকে বলেন, হ্যান্ডশেক যতটা সম্ভব পরিহার করতে হবে, কারণ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে নি:সৃত তরলের মাধ্যমে ইবোলা ত্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

২. কোনো স্পর্শ নয়:

কেউ ইবোলা আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহ করলে তাকে ছোঁয়া উচিত হবে না। প্রিয়জনকে ব্যাথায় কাতর হতে দেখে তাকে সান্তনা দিতে স্পর্শ বা আলিঙ্গন না করা নিষ্ঠুর দেখালেও আক্রান্ত ব্যক্তির মুত্র, পায়খানা, বমি, রক্ত, থুথু, কান্নার মাধ্যমে ইবোলা ছড়াতে পারে।

c6f3c795a53e09c94edfdd2a7244de12আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গের মধ্যে আছে জ্বর, পেশী ও সন্ধিতে ব্যাথা, গলায় ব্যাথা, মাথাব্যাথা এবং ক্লান্তি। এছাড়া ডায়রিয়া ও বমিও হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তিতে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেবেন এবং সম্ভ হলে তার ব্যবহূত যেকোনো পোশাক স্পর্শ না করার চেষ্টা করবেন।

৩. মরদেহ এড়িয়ে চলবেন:

কেউ যদি ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান তাহলে এমনকি অন্ত:ষ্ট্যক্রিয়ার অংশ হিসেবেও তার মরদেহকে স্পর্শ করা যাবে না। মৃত্যুর পরেও মানবদেহ থেকে নানা তরল নি:সৃত হতে থাকে। মরদেহ উন্মুক্ত পরিবেশে বেশদিন রাখা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।

৪ . জংলী-জানোয়ারের মাংস খাওয়া যাবে না:

বাদুর, বাঁদর বা শিম্পাঞ্জির মত জংলী-জানোয়ারের মাংস খাওয়া যাবে না। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, এদের মাংসের মাধ্যমেই মানবদেহে প্রথম বিভিন্ন ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছিল। যেকোনো মাংস বা খাবার ভালোভাবে রান্না করতে হবে।

৫. ভয় পাবেন না:

গুজব আতংক ছড়ায়। স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ভয় পাবেন না, তারা সহায়তা করতেই এসেছে এবং একটি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে গিয়েই আপনি আরোগ্যলাভ করতে পারবেন।

এ পর্যন্ত ইবোলায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রায় অর্ধেক মৃত্যুবরণ করেছেন। এমনও উদাহরণ আছে নিছক আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহে রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে লোকজন ফেলে রেখে চলে গেছে। এছাড়া প্রথাগত অযৌক্তিক ও অবৈজ্ঞানিক চিকিত্সাপদ্ধতির ওপর অন্ধবিশ্বাসও এই রোগের বিস্তারে ভুমিকা রেখেছে। তাই ড: ক্রিশনানের দেয়া বিহিত অনুসারে, ‘প্রতিরোধ ইবোলার সংক্রমণ ঠেকানোর একমাত্র পথ। গুজবে কান দেবেন না এবং ভয় পাবেন না। একটু সচেতন থাকলে অনেক প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।’ বণিকবার্তা।