Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কোরিয়ায় সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন ‘নেভার’

naver (Custom)ইন্টারনেটে তথ্য অনুসন্ধানের মাধ্যম ‘সার্চ ইঞ্জিন’-এর ব্যবহারে দক্ষিণ কোরিয়ায় নেভারের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে দেশটির ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের তিন-চতুর্থাংশেরও বেশী অনলাইনে তথ্য খোঁজার কাজে নেভার ব্যবহার করছেন। জনপ্রিয়তায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দাউম। বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক ব্যবহৃত গুগল তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে আরও একটি স্থানীয় মাধ্যম জুম.কম। অনলাইন জরিপ সংস্থা নিয়েলসেন কোরিয়ানক্লিক কোং সোমবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিনে মোট অনুসন্ধানের সংখ্যা হিসেব করে মাসিকভিত্তিতে এই তুলনামূলক তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। নিয়েলসেনের হিসেব অনুসারে গত জুলাইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ইন্টারনেটে অনুসন্ধান হওয়া তথ্যের ৭৬.৬৯ শতাংশই ‘সার্চ’ হয়েছে নেভারে। এছাড়া ১৯.৮৯ শতাংশ দাউমে, ২.০৬ শতাংশ গুগলে ও ১.২১ শতাংশ জুমে অনুসন্ধান করা হয়েছে।

chardike-ad

চলতি বছরের হিসেবে জুলাইয়েই প্রথমবারের মতো দাউমে অনুসন্ধান ২০ শতাংশের নীচে নেমে গেছে। আধিপত্য বাড়াতে মাধ্যমটির মালিক প্রতিষ্ঠান দাউম কম্যুনিকেশনস কর্পোরেশন সম্প্রতি কোরিয়ার সর্বাধিক ব্যবহৃত মেসেঞ্জার সার্ভিস কাকাওটকের অপারেটর কাকাও কর্পোরেশনের সাথে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শেয়ারহোল্ডারদের অনুমতি সাপেক্ষে আগামী অক্টোবরে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পাদন হওয়ার কথা রয়েছে।

140527_p10_dissentingউল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার ৫ কোটি জনসংখ্যার ৩.৭ কোটিই কাকাওটকের গ্রাহক। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, মোবাইলভিত্তিক সেবাগুলোর দিকে আলাদাভাবে নজর দিয়ে দাউম-কাকাও জুটি নেভারকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে।

নেভারের মেসেঞ্জার সেবা ‘লাইন’-এর বিশ্বব্যাপী গ্রাহক সংখ্যা (৪৫ কোটি) কাকাওয়ের (১২.২ কোটি) তুলনায় অনেক বেশী হলেও দক্ষিণ কোরিয়ায় এর গ্রাহক এই মুহূর্তে ১ কোটি যা স্পষ্টই কাকাও টকের তুলনায় অনেক কম।

প্রসঙ্গত, বিশ্বখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন ‘ইয়াহু’ স্থানীয় মাধ্যমগুলোর সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে ২০১২ সালের শেষ নাগাদ দক্ষিণ কোরিয়া থেকে নিজেদের ১৫ বছরের ব্যবসা গুটিয়ে নেয়।