দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর কেটি কর্পোরেশনকে গ্রাহকপ্রতি ১ লাখ উওন (৯৭ ইউএস ডলার) করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় একটি আদালত। ব্যক্তিগত তথ্য চুরি যাওয়ার অভিযোগে ২৮ হাজার গ্রাহকের দায়ের করা ক্ষতিপূরণ মামলার রায়ে এ আদেশ দেয় সিউলের কেন্দ্রীয় জেলা আদালত। স্পর্শকাতর ব্যক্তিগত তথ্য চুরি যাওয়ার দায়ে ওই গ্রাহকরা জনপ্রতি ৫ লাখ উওন করে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছিল।
এর আগে পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসে যে ২০১২ সালে দু’জন হ্যাকার কর্তৃক অপারেটরটির ৮৭ লাখ গ্রাহকের সামাজিক নিরাপত্তা নাম্বারসহ ব্যক্তিগত তথ্যাদি ফাঁস হয়ে যায় এবং কর্তৃপক্ষ প্রায় পাঁচ মাস পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছুই জানতে পারে নি।
কেটি’ কর্তৃপক্ষ ঘটনাটিকে ‘অনিবার্য’ দাবী করে বলছে তাঁদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোন ত্রুটি ছিল না। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যেই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করার ঘোষণা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের আগস্ট ও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারীতে হ্যাকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট থেকে প্রায় ৯৮ লক্ষাধিক গ্রাহকের ১ কোটি ১৭ লাখ তথ্য চুরি যাওয়ার দায়ে কোরিয়ার টেলিকম মনিটরিং অথরিটি কোরিয়া কম্যুনিকেশনস কমিশন কেটিকে গত জুনে সাড়ে ৮ কোটি উওন জরিমানা করেছিল।
কমিশনের ভাষ্যমতে এ ক্ষেত্রে হ্যাকারদের ব্যবহৃত কৌশলগুলো ছিল খুবই সাধারন এবং কর্তৃপক্ষ একটু সতর্ক হলেই এসব প্রতিরোধ করা যেত।