Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে আদালতে তলব

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের একটি আদালতে তলব করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কূটনৈতিকপাড়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ নিয়ে দেশটির সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিরূপ ধারণার সৃষ্টি হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কোনো রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে এ ধরনের সমন জারি ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশনের সুস্পষ্ট বিরোধী বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গত ৫ আগস্ট আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। এ ছাড়া বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কেও অবহিত করা হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান।

images (13)ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ইউন ইয়াংকে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর হাজির হতে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা আদালত গত ২৪ জুলাই নোটিশ দেন। মেসার্স আর এন স্পিনিং মিলস লিমটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান বাদি হয়ে এ আদালতে একটি মামলা করে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদূতকে আদালত এ সমন জারি করেন বলে কর্মকর্তারা জানান। এ সমন জারির পরপরই গত ৪ আগস্ট রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের কাছে তার উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি দেন। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জানান, এ মোকদ্দমার (মানি স্যুট নম্বর ৭৩/১১) বাদি মেসার্স আর এন স্পিনিং মিলস লিমিটেডকে তিনি চেনেন না এবং তার সাথে বাদির কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। এ ধরনের সমন জারি কূটনৈতিক সম্পর্কে ভিয়েনা কনভেনশনের পরিষ্কার ব্যত্যয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

chardike-ad

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের চিঠি পাওয়ার পর উদ্বিগ্ন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে গত ৫ আগস্ট আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। সে সময় ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মুস্তাফা কামাল স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোমেটিক রিলেশন্সের অনুচ্ছেদ ৩১(১) অনুসারে বাংলাদেশে নিযুক্ত সব বিদেশী রাষ্ট্রদূত বা কূটনীতিকরা কূটনৈতিক অনাক্রম্যতা (ডিপ্লোমেটিক ইমুনিটি) প্রাপ্ত। এ কারণে তারা সাধারণভাবে বাংলাদেশের আদালতের কার্যবিধির আওতামুক্ত। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে আদালতের এ ধরনের সমন জারি ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশনের সুস্পষ্ট পরিপন্থী। চিঠিতে বলা হয়েছে, এর ফলে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বিরাজমান চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। উপরন্তু এতে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিরূপ ধারণার সৃষ্টি হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতসহ সব আদালত, বিভাগ ও সংস্থাগুলোকে এ ব্যাপারে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। সূত্রঃ নয়া দিগন্ত।