Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০১

নেপালে উদ্ধার কর্মীরা বন্যায় মৃত আরো চার ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে। এই নিয়ে দেশটিতে চলমান বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০১ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে কলেরা প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে গত সপ্তাহে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণে বেশ কয়েকটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।

এছাড়া প্রবল বর্ষনের প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় ভারত সীমান্তবর্তী পশ্চিমাঞ্চলে বেশ কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে গেছে ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কয়েক হাজার লোক পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এবং রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর এএফপির। নেপালের জরুরি কার্যক্রম কেন্দ্রের প্রধান ঝাঙ্কানাথ ধাকাল জানান, তিন দিন ধরে চলা অবিরাম বৃষ্টিপাতের পর রোববার আবহাওয়া পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটলে আটকা পড়া লোকদের উদ্ধার ও জরুরি ত্রাণ সরবরাহের জন্য সরকার ৩ হাজার ৪শ’রও বেশি কর্মী ও ৪টি হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে।

chardike-ad

_77002834_023514804-2তিনি বলেন, ‘আজ সকালে আমরা আরো তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১০১ জনে দাঁড়িয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, গতরাতে আরো একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধাকাল জানান, উদ্ধার কর্মীরা এখনো নিখোঁজ ১২৬ জনের সন্ধানে তল্লাশী চালিয়ে যাচ্ছে।

বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমতে থাকায় উদ্ধার কর্মীরা সম্পূর্ণভাবে হেলিকপ্টারের ওপর নির্ভর না করে, সড়ক পথেও উদ্ধার তৎপরতা চালাতে পারছে। তারা কয়েক হাজার লোককে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সুরখেত, বারদিয়া ও দাংয়ে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করতে কর্মকর্তাদের যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। অঞ্চলগুলোতে কলেরা প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ধাকাল বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ বিশেষত কলেরা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছি এবং বন্যা দুর্গতদের মাঝে পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি ও ওষুধ সরবরাহের জন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের সেখানে পাঠিয়েছি।’ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতি বছর মৌসুমী বৃষ্টিপাতে কয়েক শ’ লোক প্রাণ হারায়।