Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ফেঁসে যাচ্ছেন মহাজোট সরকারের প্রভাবশালী ৬ মন্ত্রী-এমপি

অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ফেঁসে যাচ্ছেন মহাজোট সরকারের সাবেক ও বর্তমান প্রভাবশালী ৬ মন্ত্রী-এমপি। দীর্ঘ আট মাস অনুসন্ধান শেষে তাদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত পাঁচ বছরে কেউ হয়েছেন লাখপতি থেকে কোটিপতি, কারো সম্পদ বেড়েছে তিন’শ গুণের বেশি। আবার কারো স্ত্রী হয়েছেন শূন্য থেকে কোটিপতি। অনুসন্ধানে এমনই তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি বিরোধী এই প্রতিষ্ঠানটি।

ইতিমধ্যে কোন কোন অভিযুক্ত মন্ত্রী-এমপি সম্পর্কে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ডেস্ক অফিসার এবং সংশ্লিষ্ট মহাপরিচালকের (ডিজি) নিকট জমা দিয়েছেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা। আবার কিছু অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আগামী সপ্তার মধ্যে দাখিল করা হতে পারে। আর এসব যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেওয়ার পরই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে বলে শীর্ষ কাগজকে জানিয়েছে দুদক সূত্র।

chardike-ad

ruhul-huq-mannan1_48440আলোচিত এই অভিযুক্তরা হলেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান, কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হক এবং ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক।

দুদকের একাধিক অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা শীর্ষ কাগজকে জানান, এদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের অনুসন্ধান কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু কমিশনে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়ার কাজ। আগামী সপ্তায় এসব অনুসন্ধানী প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করা হতে পারে।

তাদের (মন্ত্রী-এমপি) বিরুদ্ধে কোন অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে কর্মকর্তারা বলেন, কমিশনের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্তু অনুসন্ধানের স্বার্থে সবকিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এটুকু বলা যায় যে- দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা ও আয়কর নথিতে উল্লেখ করা সম্পদের বাইরেও তাদের নামে-বেনামে প্রচুর সম্পদ পাওয়া গেছে। যে সকল সম্পদের বৈধ উৎস দুদকের অনুসন্ধানের সময় তারা দেখাতে পারেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান শীর্ষ কাগজকে বলেন, দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে কিছু কিছু মন্ত্রী-এমপির দেওয়া হলফনামা অনুসারে তাদের সম্পদের অসংগতি পাওয়া গেছে। তাদের সম্পদের এ রহস্যজনক বৃদ্ধির ব্যাপারটি আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই শেষে কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যেতে পারে। এ বিষয়ে জানতে দুদক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে দুদক সূত্র জানায়, অভিযুক্ত ওই ছয়জন মন্ত্রী-এমপির প্রাথমিক পর্যায়ের অনুসন্ধানেই তাদের নামে-বেনামে অবৈধ সম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসে। তাই কমিশন তাদের সম্পদের হিসাব চাইলে তারা কয়েকবার সময় প্রার্থনা করে সর্বশেষ সময়ে তাদের সম্পদ বিবরণী জমা দেন। সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের পর বহু সম্পদের কোন বৈধ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া তাদের হলফনামায় সম্পদের রহস্যজনক বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে নিযুক্ত হওয়া ছয় অনুসন্ধান কর্মকর্তা রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি, সংশ্লিষ্ট জেলা রেজিস্ট্রার অফিস, এনবিআর, বিআরটিএ, রাজউক, শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি, রিহ্যাব, ব্যাংক-বীমাসহ অন্যান্য অফিসে অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করে সম্পদের হিসাব নির্ণয় করেছেন। সেখানেও  তাদের সম্পদের পরিমাণ হিসাব করতে গিয়ে অসংগতি খুঁজে পেয়েছেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা।

 রুহুল হকের চেয়ে এগিয়ে তার স্ত্রী  

দুদক সূত্র জানায়, অবৈধ সম্পদ অর্জনে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হকের চেয়ে এগিয়ে তার স্ত্রী ইলা হক। হলফনামার হিসাব অনুযায়ী গত পাঁচ বছরে রুহুল হক ও তার স্ত্রী ইলা হকের ব্যাংক ব্যালেন্স বেড়েছে ১৬৫ গুণ। তবে একই সময়ে শুধু রুহুল হকের ব্যাংক ব্যালেন্স বেড়েছে মাত্র ১০ গুণ। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়- ২০০৮ সালে স্ত্রীর নামে ব্যাংকে ছিল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৩০ টাকা। এখন সাত কোটি ৫৩ লাখ ১১ হাজার ২৪০ টাকা। এ ক্ষেত্রে পাঁচ বছরে বেড়েছে ১৬৫ গুণ। অন্যদিকে রুহুল হকের ব্যাংক ব্যালেন্স ২০০৮ সালে ছিল প্রায় ৮৮ লাখ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে প্রায় দুই কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

এছাড়া পাঁচ বছর আগে নির্বাচনী মাঠে নামার সময় রুহুল হক ও তার স্ত্রীর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত টাকার পরিমাণ ছিল ৯২ লাখ ৩৬ হাজার ১০৮ টাকা। এখন তাদের ব্যাংক ব্যালেন্সের পরিমাণ ১০ কোটি ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৩ টাকা। তথা তাদের মোট ১৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ পাওয়া গেছে বলে জানায় সূত্রটি।

 দুই হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক এনামুল

সূত্রটি আরও জানায়, এই প্রভাবশালী ছয় মন্ত্রী-এমপির মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে এনা প্রপার্টিজের কর্ণধার ও রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হকের। অনুসন্ধানে এনামুল হকের প্রায় দুই হাজার ১২০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুদক। নির্বাচনী হলফনামার সম্পদের তথ্য যাচাই করতে গিয়ে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ এই সম্পদের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপ-পরিচালক যতন কুমার রায়। তার অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮-০৯ ও ২০১২-১৩ অর্থবছরের আয়কর রিটার্নে তিনি সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

 হিসাব প্রদানকালে অর্ধেক সম্পদ গোপন করেছেন বদি

কক্সবাজার-৪ আসনের বিতর্কিত সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। কমিশনে ২০ কোটি টাকার সম্পদের হিসাব পেশ করেছিলেন তিনি। পরে দুদকের অনুসন্ধানে বদির নামে-বেনামে পাওয়া গেছে ৫০ কোটি টাকার সম্পদ। এছাড়া দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনী হলফনামায় গত পাঁচ বছরের আয় ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪০ টাকা উল্লেখ করা হলেও দুদকে পেশ করা সম্পদ বিবরণীতে সমুদয় সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ২০ কোটি টাকা। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য স্ত্রী-ভাই-বোন ও নিজের কর্মচারীর কাছ থেকে আট লাখ টাকা ধার করলেও পরের পাঁচ বছরে তার আয় বেড়েছে ৩৫১ গুণ বলে জানায় দুদক সূত্র।

স্ত্রীসহ ফেঁসেছেন মান্নান 

সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান ও তার স্ত্রী সৈয়দা হাসিনা সুলতানার বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক। ইতিমধ্যে তাদের উভয়ের ব্যাপারে মামলার সুপারিশ করে সংশ্লিষ্ট ডিজি’র নিকট অনুসন্ধানী প্রতিবেদনও জমা দিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দীন। দুদক সূত্র শীর্ষ কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দুদকের অনুসন্ধানে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে- হলফনামা অনুযায়ী পাঁচ বছর আগেও সর্বসাকুল্যে ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকার সম্পত্তি ছিল আবদুল মান্নান খানের নামে। অল্পদিনের ব্যবধানে তিনি এখন ১১ কোটি তিন লাখ টাকার মালিক। আগে বার্ষিক আয় ছিল তিন লাখ ৮৫ হাজার টাকা। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরই তার আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে বছরে তিন কোটি ২৮ লাখ টাকায়। পাঁচ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ১০৭ গুণ। এ ছাড়া এখন তিনি ধানম-িতে দুটি ফ্ল্যাটের মালিক।

তাঁর স্ত্রী সৈয়দা হাসিনা সুলতানার কর ফাইলেও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের সন্ধান পায় দুদক। তার কর ফাইল অনুযায়ী সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ১২ লাখ ৫৫ হাজার ৫২ টাকা ৩৬ পয়সা। এর মধ্যে গত এক বছরেই তার প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকার সম্পদ বেড়েছে। তিনি গৃহিণী হলেও গত ডিসেম্বরে মান্নান খান তার নির্বাচনী হলফনামায় তাকে একজন ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করেন।

এদিকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় আবদুল মান্নান খান তার আয়ের একটা বড় অংশ মৎস্য খামার থেকে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। মৎস্য ও রেমিট্যান্স থেকে আয় ছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা। কিন্তু প্রাথমিক অনুসন্ধানে মান্নান খানের উল্লেখ করার মতো কোনো মৎস্য খামার পায়নি দুদক।

 জমি বেড়েছে আসলামুল হকের

ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক। দুদক সূত্র জানায়, ক্ষমতার পাঁচ বছরে তার ঘোষিত সম্পত্তি (জমি) বেড়েছে ৩৪ গুণের বেশি। ২০০৮ সালের হলফনামায় তিনি ও তার স্ত্রী মাকসুদা হক চার একর ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ জমির মালিক ছিলেন, দাম ২০ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা। দশম সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় বলেছেন, স্বামী-স্ত্রী মিলে ১৪৫ দশমিক ৬৭ একর (১৪ হাজার ৫৬৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ) জমির মালিক, দাম এক কোটি ৯২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা।

 মাহবুবুর রহমানের ব্যাংকে টাকা বেড়েছে ৫৮৬ গুণ

সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও পটুয়াখালী-৪ আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য মাহবুবুর রহমান। দুদকের অনুসন্ধানে সাবেক এই পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর নামে প্রায় ১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। মহাজোট সরকারের আমলে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থেকে  তিনি এ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে জানায় দুদক সূত্র। অবৈধভাবে অর্জিত অর্থে জমি কিনেছেন তিনি। সদ্য বিদায়ী মহাজোট সরকারের প্রতিমন্ত্রীর পাঁচ বছরে জমির পরিমাণ বেড়েছে ১৪৩ গুণ। একইভাবে ব্যাংকে টাকা বেড়েছে ৫৮৬ গুণ এবং বার্ষিক আয় বেড়েছে ৭৯ গুণ।

এদিকে সাতক্ষীরার সাবেক এমপি ও জাতীয় পার্টি নেতা এম এ জব্বারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের উল্লেখযোগ্য কোন প্রমাণ পায়নি বলে শীর্ষ কাগজকে জানিয়েছে দুদক সূত্র। তাই তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মামলার পরিবর্তে নিষ্পত্তির দিকে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালক মাসুদুর রহমান শীর্ষ কাগজকে বলেন, এম এ জব্বারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্তু অবৈধ সম্পদ অর্জনের উল্লেখযোগ্য কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এখনও অনুসন্ধান কাজ শেষ হয়নি। শেষ পর্যন্তু দেখা যাক, অনুসন্ধানে কি বেরিয়ে আসে।

 যেসব কর্মকর্তা অনুসন্ধান করেছেন

ডা. আ ফ ম রুহুল হকের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান করছেন দুদকের উপ-পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম, অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খানের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন। মাহবুবুর রহমানের উপ-পরিচালক খায়রুল হুদা, আবদুর রহমান বদির উপ-পরিচালক আব্দুস সোবহান, আসলামুল হকের উপ-পরিচালক শেখ মেছবাহ্ উদ্দিন, প্রকৌশলী এনামুল হকের উপ-পরিচালক যতন কুমার রায় এবং এম এ জব্বারের সহকারী পরিচালক মাসুদুর রহমান  অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান করছেন।

উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি মহাজোট সরকারের এই সাত জন মন্ত্রী-এমপি’র বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এজন্য গত ২১ জানুয়ারি অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় কমিশন। আর এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ ফেব্রুয়ারি বদিকে, ২০ ফেব্রুয়ারি আবদুল মান্নান খানকে, ২৩ ফেব্রুয়ারি মাহবুবুর রহমানকে, ২৪ ফেব্রুয়ারি রুহুল হককে, ২৭ ফেব্রুয়ারি আবদুল জব্বারকে এবং ৫ মার্চ আসলামুল হককে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা।

শীর্ষ কাগজের সৌজন্য