Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইরাকে ফের শ্রমিক পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, ইরাকে নিরাপত্তার কারণে প্রায় দু’মাস জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ রাখার পর আগামী সপ্তাহে আবার তা শুরু করা হচ্ছে। বাগদাদ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে চৌদ্দ’শ শ্রমিক নিতে চেয়েছে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী আগামী সপ্তাহে এই জনবল পাঠানো শুরু করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলছেন, কোরিয়ার কোম্পানিটির সাথে চুক্তি সই হয়েছে। এর বাইরেও বাগদাদ থেকে বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানি তাদের চাহিদা দিচ্ছে, সেগুলোও সরকার বিবেচনা করে দেখছে। বাংলাদেশের নাগরিক নিজেরাও বাগদাদে কাজের জন্য কোন কোম্পানির চাহিদা নিয়ে এলেও সরকার তা অনুমোদন করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।

chardike-ad

eraq-05উল্লেখ্য, ইরাকে ব্যাপক সহিংসতার মুখে নিরাপত্তার অভাবে বাংলাদেশের কয়েক’শ শ্রমিক ফেরত এসেছিল জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত। সেই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার কারণে ইরাকে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ রাখা হয়েছিল। ওইসময় ফেরত আসা শ্রমিকদের অনেকে মনে করেন, ইরাকে লোক পাঠানোর জন্য আরও সময় নেয়া প্রয়োজন ছিল। তাদেরই একজন শরিফুল ইসলাম যেমন বলছিলেন, “বাগদাদ এবং বসরা, এই দু’টি অঞ্চল সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে। এই দু’টি এলাকায় যারা যাবে, তারা হয়তো নিরাপদে থাকতে পারবে। তারপরও সেখানে উদ্বেগ কাজ করে। সে কারণে ইরাকে বাংলাদেশের লোক পাঠানোর জন্য কিছুটা সময় নেওয়া উচিত ছিল।”

তবে মন্ত্রী বলেছেন, নিরাপত্তা প্রশ্নে নিশ্চয়তা নেওয়ার পরই সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সাথে চুক্তি করা হচ্ছে, “সংশ্লিষ্ট বিদেশি কোম্পানিগুলোর সাথে আলোচনায় নিরাপত্তা ইস্যূতে নিশ্চিত হওয়ার পরই ইরাকে আবার জনশক্তি রপ্তানি শুরু করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “নিরাপত্তার পুরো দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে নিতে হবে এবং কোন সমস্যা হলে কোম্পানির অর্থে তাদের ফেরত পাঠাতে হবে। এসব নিশ্চয়তা নিয়ে তাদের স্ট্যাম্পে সই করে বা চুক্তি করার পরই ইরাকে লোক পাঠানো হচ্ছে।”

মন্ত্রী মনে করেন, ইরাকে যে গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে, তাদের বাংলাদেশিদের প্রতি কোন আক্রোশ নেই। এছাড়া বাংলাদেশের ২৫ হাজারের মতো শ্রমিক যারা ইরাকে রযেছেন, তাদের ৯৫ শতাংশই বাগদাদের ভিতরে থাকছেন।ফলে তারা নিরাপদে আছে বলে বাংলাদেশ সরকার মনে করে। মন্ত্রী এটাও উল্লেখ করেছেন, বাগদাদসহ নিরাপদ এলাকাগুলোতে থাকা বাংলাদেশিরা যাতে নিরাপত্তার ঝুঁকি আছে, এমন এলাকায় চলে না যায়, সেজন্য বাংলাদেশের মিশনকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে মিশনের পক্ষ থেকে এখনও ইরাকে বাংলাদেশিদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

 

[বিবিসি বাংলার সৌজন্যে]