দক্ষিণ কোরিয়ার ইনছনে ১৭তম এশিয়ান গেমসের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আজ। ফুটবল ইভেন্ট ১৪ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে গেলেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আজই আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দা উঠছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় এ ক্রীড়াযজ্ঞের। এশিয়ার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের তারকাদের ভিড়ে আজ ‘ইনছন এশিয়াড মেইন স্টেডিয়াম’ যেন হয়ে উঠবে এক টুকরো এশিয়া। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় এবং কোরিয়ান সময় সন্ধ্যা ৭টায়।
বুধবার থেকেই অ্যাথলিট, কর্মকর্তা, পর্যটক ও গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ইনছন। ব্যস্ত সময় কাটছে এখানকার এয়ারপোর্ট কর্মীদেরও। প্রায় অলিম্পিক-আকৃতির এ গেমসে এশিয়ার ৪৫টি দেশের ১০ হাজারেরও বেশি অ্যাথলিট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৩৬টি ক্রীড়ার ৪৩৯ ইভেন্টে। সিউল (১৯৮৬) ও বুসানের (২০০২) পর দক্ষিণ কোরিয়ার তৃতীয় শহর হিসেবে এশিয়ান গেমস আয়োজন করতে চলেছে ইনছন। ২০০৭ সালে ভারতের দিল্লিকে হারিয়ে তারা এ গেমস আয়োজনের স্বত্ব লাভ করে। এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসরটি সফল করতে এখন তাই চেষ্টার অন্ত নেই কোরীয়দের।
এশিয়ান গেমসে মোট অ্যাথলিটের দশ ভাগের এক ভাগ কেবল চীনেরই। ২০১০ সালে গুয়াংঝু আসরে রেকর্ড ১৯৯টি স্বর্ণসহ মোট ৪১৬টি পদক জয় করা চীন এবারো শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শন করতে প্রস্তুত। চীনের অলিম্পিক স্বর্ণজয়ী সাঁতারু সান ইয়াং, ইয়ে শিওয়েন এবং ব্যাডমিন্টন তারকা ডিন ড্যানরা ইনচনে আলোতে থাকবেন। তাদের সঙ্গে জাপানের উদীয়মান অ্যাথলিট ও হোম ফেভারিট দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাথলিটদের মধ্যে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এশিয়ান গেমসের জন্য ৪২ কোটি ৯০ লাখ ডলারে নির্মিত এশিয়াড মেইন স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৬০ হাজার। আসরের টিকিট বিক্রি হতাশাজনকভাবে কম হলেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একটি আসনও খালি থাকবে না বলে মনে করছেন আয়োজকরা। আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ‘কে-পপ স্টারস’ ও ‘খাংনাম স্টাইল’ গায়ক পিএসওয়াই। এছাড়া দেশটির বরেণ্য শিল্পীরা এতে পারফর্ম করবেন। সঙ্গে থাকবে কোরিয়ান শিল্প, কলা, সাহিত্য ও ইতিহাসের নানা প্রদর্শনী।
ব্যয়ের দিক থেকে ইনচন এশিয়ান গেমসকে অনেকটা মিতব্যয়ীই বলতে হবে। এ আসরের বাজেট ২০০ কোটি ডলার, যা গুয়াংঝু আসরের চেয়ে অনেক কম। বেইজিং অলিম্পিক ও সোচি শীতকালীন অলিম্পিকের খরচের সঙ্গে তো তুলনাই চলে না। এএফপি