Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

চীনকে ‘আগ্রাসনবাদী’ আখ্যা মোদির

জাপান সফরে গিয়ে আরেক প্রতিবেশী চীনকেই কটাক্ষ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নাম না করেও চীনকে ‘বিস্তারবাদী’ বা আগ্রাসনবাদী বলে চিহ্নিত করলেন তিনি। জাপান ও ভারতের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সভায় এবং জাপানের সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদির ইঙ্গিত একেবারেই স্পষ্ট। বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চীনের সীমান্ত বিরোধের কথা প্রত্যক্ষই উল্লেখ করেছেন তিনি। এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই ভারত সফরে আসছেন চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিঙ। ঠিক তার আগেই চীন সম্পর্কে তার আপত্তির কথা তৃতীয় দেশের মাটিতে বসে বললেন মোদি।

সোমবার মোদি এক অনুষ্ঠানে বলেন, পৃথিবীতে দু’রকম মতবাদ আছে। এক, ‘বিকাশবাদ’ বা উন্নয়ন। আরেকটি হলো ‘বিস্তারবাদ’ বা অন্য দেশে আগ্রাসন চালানো। কোনো কোনো দেশ অষ্টাদশ শতাব্দীর ধারণা নিয়ে অন্যের ভূখণ্ডে এবং সমুদ্রে ঢুকে পড়ে। লক্ষণীয়, ভারতের সঙ্গেও চীনের দীর্ঘ সময়ের সীমান্ত সমস্যা রয়েছে। কিন্তু সমুদ্রের বিষয়টি প্রধানত দক্ষিণ চীন সাগরকে কেন্দ্র করে জাপান-চীন বিরোধের প্রতিই ইঙ্গিত। পূর্ব চীন সমুদ্রে কয়েকটি দ্বীপ নিয়েও জাপান-চীন বিরোধ রয়েছে। জাপানের মাটিতে দাঁড়িয়ে এই প্রশ্নে চীন-বিরোধী অবস্থান ঘোষণাই করে দিলেন মোদি।

chardike-ad

modi1 সংবাদমাধ্যমে চীন নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মোদি বলেন, চীন ভারতের বৃহত্তম প্রতিবেশী এবং দেশের বিদেশ নীতিতে অগ্রাধিকার পায়। চীন ও জাপান উভয়কে নিয়েই এই শতাব্দীকে ‘এশিয়ার শতাব্দী’ তৈরি করতে ভারত আগ্রহী। কিন্তু জাপানের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতর সম্পর্কই যে ‘এশীয় শতাব্দীর’ মূল ভিত্তি হতে পারে, তা বারংবার বলে রেখেছেন মোদি।

স্বভাবতই কূটনৈতিক মহলে মোদির মন্তব্য প্রশ্ন তৈরি করেছে। বেইজিঙে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালের মুখপাত্রকেও এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মোদি কী বলেছেন তা আমি জানি না। তবে মোদি নিজেই বলেছেন অভিন্ন উন্নয়নে ভারত-চীন শরিক। প্রাসঙ্গিক বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।

এদিকে, জাপান সফরে বাণিজ্যিক সম্পর্কের অগ্রগতির বিষয়ে কথা হলেও বহুপ্রচারিত পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। মোদির এই সফরেই ভারত-জাপান অসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি সই হয়ে যাবে বলে আশা করা হয়েছিল। সোমবার মোদি ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, দু’দেশের অফিসারদেরই পরমাণু চুক্তি নিয়ে দ্রুত এগোতে বলা হয়েছে। ইঙ্গিতেই স্পষ্ট, আসলে বিস্তর ফাঁক রয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তির ধাঁচেই চুক্তি করতে চেয়েছিল দিল্লি। জাপান আদৌ উৎসাহী নয়। অন্য কোনো কাঠামোর সন্ধান চলছে। সুতরাং এই চুক্তির ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। -সংবাদ সংস্থা