Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রাজনৈতিক চাপে সুদের হার কমিয়েছে ব্যাংক অব কোরিয়া

আগস্টের মুদ্রানীতি সভায় ১৫ মাস পর সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রবৃদ্ধির জন্য ব্যাংক অব কোরিয়ার (বিওকে) এ সিদ্ধান্তের পক্ষে মত ছিল অনেক অর্থনীতিবিদেরই। তবে সমালোচকরা বলছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবৃদ্ধিকেন্দ্রিক নীতি বাস্তবায়নের চাপে বিওকেকে আর্থিক ঝুঁকির বিষয়টি অগ্রাহ্য করতে হয়েছে। খবর সিনহুয়া।

সর্বশেষ মুদ্রানীতি সভায় সুদের হার ২ দশমিক ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনে বিওকে। এপ্রিলে দায়িত্ব নেয়ার পরের মাসেই ২ দশমিক ৫ শতাংশ সুদের হারকে প্রত্যাশিত পুনরুদ্ধারের জন্য যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছিলেন বর্তমান গভর্নর লি জু ইওল। ২০১৪ সালে ৪ শতাংশ এবং আগামী বছর ৪ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার।

chardike-ad

bank_of_korea_011জুলাইয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নামিয়ে আনার পর বিওকেও নিজেদের পূর্বাভাস দশমিক ২ পয়েন্ট কমিয়ে আনে। ১৪ আগস্ট সুদের হার কমানোর ব্যাখ্যায় গভর্নর লি বলেন, অর্থনীতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের আস্থা বাড়ানোই সুদের হার কমানোর মূল কারণ। এটি অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে বিওকের ক্ষেত্রে সমালোচনার মূল কারণটি হলো, অর্থনীতির কাঠামোগত সমস্যাগুলোর দিকে মনোযোগ কম দিয়ে স্বল্পমেয়াদি প্রণোদনা ও প্রবৃদ্ধিকে প্রাধান্য দেয়ায় সরকারই সমালোচিত।

জুলাইয়ে ৪১ ট্রিলিয়ন উনের (৪০ বিলিয়ন ডলার) প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে অর্থ মন্ত্রণালয়। সাধারণ মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ অস্বাভাবিক স্তরে পৌঁছার আগ পর্যন্ত সম্প্রসারণশীল মুদ্রানীতির পক্ষে মত দেন অর্থমন্ত্রী।

প্রণোদনা প্যাকেজে বন্ধকি ঋণের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরো শিথিল করার ঘোষণা ছিল। অথচ ঠিক চার মাস আগেই ২০১৭ সালের মধ্যে পরিবারগুলোর গড় ঋণ-আয় অনুপাত শতকরা ৫ পয়েন্ট কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে অর্থ মন্ত্রণালয়। ২০১৩ সালে গড় বার্ষিক আয়ের ১৬১ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবারগুলোর। ফেরি দুর্ঘটনার পর ভোক্তাব্যয় কমে যাওয়ার কারণেই এ শিথিলতা।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে বার্ষিক হিসেবে প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ২ দশমিক ৪ শতাংশে, প্রথমার্ধে যা ছিল ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। তবে প্রণোদনার প্রভাবে বছরের দ্বিতীয়ার্ধে তা ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদী অর্থনীতিবিদরাও।

দীর্ঘমেয়াদে দক্ষিণ কোরীয় অর্থনীতির ঋণভার ও এর ফলে সম্ভাব্য দুষ্টচক্র নিয়ে চিন্তিতরাই অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমালোচনা করছেন। বণিকবার্তা।