Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

২২ কোটি টাকা ব্যয়ে তুরস্কে বাংলাদেশের নিজস্ব দূতাবাস

তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশটিতে নিজস্ব দূতাবাস নির্মাণ করবে বাংলাদেশ সরকার। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে দেশটির রাজধানী আঙ্কারার ডিপ্লোমেটিক এলাকায় এই ভবন নির্মাণ করা হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মুস্তাফা কামাল জানায়, তুরস্কে আমাদের কোনো নিজস্ব দূতাবাস নেই। বাসা ভাড়া করে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কাজ পরিচালনা করতে হয়। এর ফলে আমাদের নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। যেমন বাসা পরিবর্তন, চুক্তি ভিত্তিক বাসা ভাড়া করতে গিয়ে অনেক সময় বাসা পরিবর্তন করতে হয়। বছর বছর অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়। এছাড়া নিরাপত্তার বিষয়তো আছেই।

chardike-ad

Bangladesh-Government-Logoতিনি বলেন, ‘তাই তুরস্কে একটি দূতাবাস নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে করে নিজস্ব ভবনে নিরাপত্তার সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পূর্ণ করা যায়। তিনি আরো বলেন, নিজস্ব ভবন থাকা খুবই জরুরি। কেননা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এর বিকল্প নেই।

অপরদিকে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে “কন্সট্রাকশন অব বাংলাদেশ চ্যান্সরি কমপ্লেক্স অব বাংলাদেশ ইন আনকারা, তুরস্ক” শীর্ষক একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

প্রকল্পের মাধ্যমে ভাড়া বাড়ি থেকে দূতাবাসের কার্যকলাপ পরিচালনার পরিবর্তে নিজস্ব ভবন নির্মাণ করা হবে। তুরস্কের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা ও শক্তিশালী করা হবে। এছাড়া তুরস্কের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন করা হবে।

প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ৩ হাজার ৪১২ বর্গমিটার দূতাবাস ভবন নির্মাণ, বিভিন্ন ধরণের আসবাবপত্র ক্রয়, দুটি কম্পিউটার ক্রয়, ৩০০ কেভিএ জেনারেটর স্থাপন, সিসিটিভি, সিকিউরিটি সিস্টেম ও মেটাল ডিকটেটর সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায়, কর্মকর্তাদের তুরস্কে ভ্রমণ এবং ল্যান্ডস্কেপিংসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ করা হবে।

আঙ্কারায় তুরস্ক সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দপ্রাপ্ত জমির উপর ভবন নির্মাণ করা হবে।

তুরস্কে নিজস্ব ভবন না থাকায় নানা সমস্যা হচ্ছে। এরমধ্যে অন্যতম চাহিদার তুলনায় অফিস স্পেসের পরিমাণ কম। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস এবং অন্যান্য বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি এবং তুরস্কের গণমাধ্যম ব্যক্তিরা দূতাবাসে আসেন। কিন্তু তাদের বসার জন্য জায়গা দেওয়া যায় না। এছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যে কারণে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদার করতে চায় বাংলাদেশ।

এছাড়া প্রতিবছর ভাড়া বাবদ সরকারকে এখানে ৯৭ লাখ টাকা ব্যয় করতে হয়। প্রয়োজনীয়তার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ সরকার তুরস্কের একটি নিজস্ব ভবন নির্মাণে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সরকার।

অর্থ সংস্থান প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৬ কোটি ৬০ লাখ এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা সরকারি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।