Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

জানাজায় যে শপথ নিলো জামায়াত-শিবির

golam-ajam

গোলাম আযমের জানাজায় তার ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর বক্তব্যে শপথ নিলেন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। জানাজার আগে ৫ মিনিট রাজনৈতিক বক্তব্য এবং পরে ৪ মিনিট ধন্যবাদ বক্তব্য দেন আমান আযমী। মোট ৯ মিনিটের বক্তব্যে দলটির নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত হন। এ সময় তারা হাত উঁচিয়ে চিৎকার করে শপথ নেন।

chardike-ad

শনিবার বায়তুল মোকাররমে জোহরের নামাজের পর অনুষ্ঠিত জানাজার আগে এক বক্তব্যে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী বক্তব্য দেওয়ার সময় নেতা-কর্মীরা এ শপথ নেন।

বক্তব্যে গোলাম আযমের ছেলে তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমার বাবা আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন হবে সেই চেষ্টা করেছেন। তিনি কারো কোনো ক্ষতি করেননি। তিনি কাউকে দুঃখ দেওয়ার জন্য কোনো কিছু করেননি। বাবাকে এক হাজার ১৬ দিন মিথ্যা মামলায় কারাগারের মধ্যে রাখা হয়েছে। অন্ধকার প্রকোষ্ঠে প্রতিটি মুহূর্তে কষ্ট পেয়েছেন বাবা।’

তিনি আরো বলেন, ‘এক গোলাম আযম চলে গেছেন। লাখ লাখ গোলাম আযম তৈরি হয়েছে এবং সামনে আরো হবে।’ তিনি যখন এ কথা বায়তুল মোকাররমের মাইকে বলছিলেন, তখন জানাজায় দাঁড়ানো লাখ লাখ নেতা-কর্মী হাত উঁচিয়ে শপথ নেন। এ সময় বিভিন্ন শ্লোগান দেন নেতা-কর্মীরা। আযমী এ সময় নেতা-কর্মীদের থামতে বলেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা শান্ত হোন। দোয়া করেন প্রিয় নেতার জন্য। উত্তেজিত হবেন না।’

জানাযা শেষে আমান আযমী তার বক্তব্যে বলেন, ‘আপনারা সুশৃঙ্খলভাবে মগবাজারে যাবেন। কোথাও কেউ গণ্ডগোল করবেন না। আজকের জানাজা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ জানাই পুলিশ, র‍্যাব ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। ধন্যবাদ জানাই বায়তুল মোকাররমের খতিব সালাউদ্দিন আহমেদকে। আরো ধন্যবাদ জানাই ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে। তারাও সহযোগিতা করেছেন জানাজা সুসম্পন্ন হওয়ার জন্য।

উল্লেখ্য, গোলাম আযম গত ২৩ অক্টোবর রাতে মারা যান। শুক্রবার খুব ভোরের দিকে তার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী। শনিবার বায়তুল মোকাররমে তার জানাজা হয়। পরে গোলাম আযমের লাশ রাজধানীর মগবাজারে পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়।