Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ডঃ ইউনুসের প্রশংসায় অর্থমন্ত্রী মুহিত

yunus and finance ministerডঃ ইউনুসের প্রশংসা করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল তিনি বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্পের প্রধান কাজ ছিল গরিব জনগোষ্ঠীকে ঋণ দেয়া। একই সঙ্গে লক্ষ্য ছিল কোনো খেলাপি থাকবে না। খেলাপি সংস্কৃতি থেকে মুক্তি দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস। এজন্য জাতি তার কাছে কৃতজ্ঞ। ‘সামাজিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে গতকাল তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করে পিকেএসএফ, আইএনএম ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)। দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, পিকেএসএফের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান, ডিএফআইডির (ইউনাইটেড কিংডমস ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট) বাংলাদেশ প্রতিনিধি সারা কুক, অর্থনীতিবিদ বাকি খলিলী, ইনস্টিটিউট অব মাইক্রোফিন্যান্সের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক খন্দকার মুজাহিদুল হক প্রমুখ।

chardike-ad

অর্থমন্ত্রী বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের গ্রামীণ প্রকল্পে ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রে ঋণখেলাপির পরিমাণ কোনোভাবেই ৫ শতাংশের বেশি নয়। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে দরিদ্ররা বিশ্বস্ত।

২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে ৬০-এর দশকে ক্ষুদ্রঋণের ধারণা নিয়ে কাজ শুরু করেন আখতার হামিদ। এর পর বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্নে সোনার বাংলা গড়তে এ কাজকে এগিয়ে নিয়ে যান। বর্তমানে দেশে ৪ কোটি অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে বর্তমানে ৩ কোটি ৩০ লাখ দরিদ্র মানুষ ক্ষুদ্রঋণের সেবা গ্রহণ করছে। ক্ষুদ্রঋণ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখছে মন্তব্য করে মুহিত আরো বলেন, দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থানকারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে ক্ষুদ্রঋণের প্রয়োজন রয়েছে। দরিদ্রদের পুঁজি জোগানের পাশাপাশি ব্যবসার নিরাপদ পরিবেশ দিলে এ দশকের শেষ দিকে দারিদ্র্যসীমা ২৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৪-১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।

এ ধরনের ঋণে সুদের হারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে মন্ত্রী আরো বলেন, ঋণদাতারা সুদের হার কিছুটা বেশি রাখছে। এক্ষেত্রে  সুদহার কমাতে পারলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা উপকার পাবেন।

পিকেএসএফের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, ক্ষুদ্রঋণ নেয়া গ্রাহকরা ঋণের জালে আটকে পড়ে। এ ধরনের ঋণ নিয়ে বড় কিছু করা সম্ভব নয়। ঋণের জাল থেকে বেরিয়ে এসে মানুষকে সাবলম্বী করার উপায় বের করতে হবে।