Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দাঁতের জন্য ক্ষতিকর যেসব খাবার

teethশক্ত আর মজবুত দাঁত ছাড়া মজার মজার খাবার খাওয়া যায় না। ভুবন ভোলানো সুন্দর হাসির জন্যও তো চাই সুন্দর দাঁত। তবে মজার মজার কিছু খাবার দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি করে।

দাঁত এবং দাঁতের মাড়িতে সমস্যার কারণে সৃষ্ট ভাইরাস মুখের ভেতর ইনফেকশনের জন্ম দেয়। যা মুখের ভেতরের ক্যানসারের জন্য অনেকটাই দায়ী। তাই দাঁতের যত্ন নিতে কিছু খাবার থেকে বিরত থাকা জরুরি।

chardike-ad

টক জাতীয় ফল:
কমলালেবুর ভিটামিন সি মাড়ির কোলাজেন বজায় রাখে। কিন্তু লেবুজাতীয় ফল অতিরিক্ত খাওয়া হলে উজ্জ্বল হাসির সঙ্গে আপোষ করতে হয়।

নিউ ইয়র্কের কসমেটিক দন্তচিকিৎসক জেনিফার জাবলো বলেন, এক দিনে প্রচুর কমলা বা প্রচুর পরিমাণ লেবু পানি পানের ফলে দাঁতের এনামেলের ক্ষয় হয়। এনামেল নতুন করে জন্ম নেয় না। টক জাতীয় খাদ্যের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর- লেবু এবং চুন।

২০১১ সালে ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশিয়ানে বলা হয়েছিল, টক ফলের জুস কখনও কখনও কোকা-কোলার মতোই ক্ষতিকর।

কাজুবাদাম:
কাজুবাদামে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে। এটি অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত শরীরের জন্য উপকারীও বটে। কিন্তু এটি দাঁতের জন্য ক্ষতিকর।

জাবলো বলেন, কাজুবাদাম অনেক শক্ত। প্রতিটি কামড়ে যে চাপের সৃষ্টি হয় এর ফলে মাড়িতে ফাটল দেখা যায়।

আচার ও ভাজা খাদ্য:
আচার ও ভাজা খাদ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে স্যান্ডউইচ। এতে অল্প পরিমাণে ক্যালোরি থাকে এবং এর স্বাদ অনেক বেশি। কিন্তু এর সাহায্যে আপনার দাঁতের সৌন্দর্য নষ্ট হতে পারে।

জাবলো বলেন, আচার জাতীয় খাদ্যে ভিনেগারের ব্যবহারের কারণে এতে প্রচুর পরিমাণে এসিড জাতীয় উপাদানের উপস্থিতি থাকে। এই ধরনের খাদ্যে চিনির পরিমাণও অনেক বেশি থাকে। এরা দাঁতের ধাতুকে নষ্ট করে।

মাখনযুক্ত চিনাবাদাম:
এই খাবারের স্বাদের সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা হয় না। কিন্তু এটি অপ্রত্যাশিতভাবে প্রোটিনসমৃদ্ধ জলখাবারের ক্ষতিসাধন করে।

জাবলো বলেন, মাখনযুক্ত চিনাবাদাম দেখতে চকচকে ও উজ্জ্বল। এটি খাওয়ার পর দীর্ঘ সময় পর্যন্ত দাঁতের সংস্পর্শে থাকে।

কফি:
কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। কিন্তু এতে শরীরে কিছু গুরুতর ক্ষত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এটি দাঁতেও আঘাত হানতে পারে। এটি সাধারণত দাঁতের পৃষ্ঠতলে ক্ষত তৈরি করে।

শুকনো ফল:
সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী শুকনো ফল। কিন্তু শুকনো ফলে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এটি দাঁতে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দেয়।

পরামর্শ:
এসব সুস্বাদু খাবার থেকে বিরত থাকা অনেক কষ্টকর। তাই এসব খাবার থেকে বিরত না থেকে একটু সাবধানতা অবলম্বন করলেই দাঁতের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।

প্রথম শর্ত: সুস্বাদু খাবার হলেও এর কোনোটিই খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত হবে না। স্বাদ নেওয়ার জন্য যেটুকু প্রয়োজন শুধু ততটুকুই নিন।

দ্বিতীয় শর্ত: খাওয়ার পর অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করুন। এসব খাবারের কোনো কিছুই যেন আপনার দাঁত বা মুখের মধ্যে না থাকে। সাধারণত দিনে ২ বার দাঁত ব্রাশের কথা বলা হলেও, যে সময় ওসব মুখরোচক খাবারের স্বাদ নিবেন তার পর অতিরিক্ত ১ বার দাঁত ব্রাশ করে নিন। এতে আপনার স্বাদও পূরণ হবে এবং দাঁতও ভালো থাকবে। হাসিটাও থাকবে অমলিন।

সূত্র: ওমেন্স হেলথ ম্যাগ