Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ফেসবুকের যে স্ট্যাটাসগুলো অন্যদের জন্য মারাত্মক বিরক্তিকর!

facebook-addictফেসবুকটা এখন অনেকটা নেশার মতই হয়ে গিয়েছে। সকালে, বিকালে, সারাক্ষণ ফেসবুকের পাতায় আপডেট দেখার মধ্যেই জীবনটা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফেসবুকের এই অভ্যস্ততার মাঝে প্রতিনিয়ত আমরা নানান রকমের মজার এবং বিরক্তিকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হই। মাঝে মাঝে কিছু স্ট্যাটাস আমাদেরকে খুবই বিরক্ত করে। জেনে নিন তেমনই কিছু ফেসবুক স্ট্যাটাস সম্পর্কে যেগুলো আপনাকে বিরক্ত করছে প্রতিনিয়ত। আর আপনি এসব দিয়ে থাকলে হচ্ছেন অন্যের বিরক্তির কারণ!

হ্যাস ট্যাগের আধিক্য
“#BFF #dinner #fun #memories #yummy” এরকম স্ট্যাটাসের আধিক্যটা নিশ্চয়ই ইদানিং একটু বেশিই চোখে পড়ছে? আসল কথা বাদ দিয়ে পুরো বাক্যটাকেই হ্যাস ট্যাগ দিয়ে ভরিয়ে ফেলার এই অভ্যাসটাতে অনেকেই বেশ বিরক্ত হয়। কারণ ঐ হ্যাসট্যাগের মাঝে থেকে খুঁজে খুঁজে বের করে প্রকৃত বিষয়টি বুঝতে পারাটা এতো সহজ নয়। ফলে নিউজফিডে এই ধরনের স্ট্যাটাস দেখে বিরক্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক।

chardike-ad

ঝগড়াটে
ফেসবুকে এক শ্রেণীর মানুষ আছেন যারা প্রতিনিয়তই তাঁর ফেসবুকের নানান মানুষকে খোঁচা মারার উদ্দেশ্যে ইঙ্গিতপূর্ণ ঝগড়াটে কথাবার্তা বলে থাকেন। তাঁরা মনে করেন যে যাকে দেখানোর উদ্দ্যেশ্যে এধরণের স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে সে দেখলে তাঁকে একটা ‘উচিত শিক্ষা’ দেয়া হবে। কিন্তু এধরণের স্ট্যাটাস যে ফেসবুকে তার ব্যক্তিত্বকে ক্ষুণ্ণ করছে এবং তাকে হাসির পাত্র করে তুলছে সবার কাছে সেই বিষয়টি অনেকেই বোঝে না।

প্রতি মিনিটের আপডেট
কিছু মানুষ আছেন যারা প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই ‘শুভ সকাল’ কিংবা ‘চা খাচ্ছি’, ‘ঘুমাতে যাচ্ছি’, ‘পানি খাচ্ছি’ ধরনের স্ট্যাটাস দিয়ে থাকে। তাদের দেয়া প্রতি মিনিটের এসব দৈনন্দিন কাজের আপডেট মানুষকে বিরক্ত করে।

দার্শনিক স্ট্যাটাস
আরেক শ্রেণীর মানুষ আছেন যারা রীতিমতো দূর্বোধ্য ভাষায় স্ট্যাটাস দিয়ে থাকেন। একটি কঠিন বাংলা শব্দের সাথে আরেকটি কঠিন বাংলা শব্দ জুড়ে দিলেই যে বাক্য তৈরি হয় না এই বিষয়টি হয়তো তাঁরা বুঝেও বোঝেন না। তাদের স্ট্যাটাসগুলো বরাবরই সবার ‘মাথার উপর’ দিয়ে যায়।

অতিরিক্ত আবেগী/ দুঃখ বিলাসী
কিছু মানুষের স্ট্যাটাস দেখলে মনে হয় তাদের চাইতে দুঃখী আর কেউ নেই জগতে। মন খারাপের পসরা সাজিয়ে বসে থাকা এধরনের মানুষকে কখনোই জীবনের ইতিবাচক দিকটাকে তুলে ধরতে দেখা যায় না। এধরনের একঘেয়ে দুঃখী স্ট্যাটাস মানুষকে বেশ বিরক্ত করে।

অতিরিক্ত চেক ইন
কোথাও বেড়াতে গেলে কিংবা খেতে গেলে চেক ইন দেয়াটা দোষের কিছু নয়। কিন্তু ‘বাথরুমে আছি’, ‘সিরিয়াল দেখছি’ ধরনের স্ট্যাটাস দিয়েও যারা চেক ইন দেয় তাঁরা আসলেই ফেসবুকের হোম পেজে খুবই বিরক্তিকর।

জ্ঞানী ব্যক্তিদের বাণী
ফেসবুকে নিজের স্ট্যাটাস না দিয়ে সব সময়েই যারা জ্ঞানী ব্যক্তিদের বাণী দিতে থাকেন তাঁরা অন্যদের জন্য অত্যন্ত বিরক্তিকর। কারণ বাণী দেখতে চাইলে গুগলে সার্চ দিলেই হয়, ফেসবুকের পাতায় দেখার কী প্রয়োজন!

ব্যক্তিগত স্ট্যাটাস যা কেউ বোঝে না
মাঝে মাঝে ফেসবুকে কিছু স্ট্যাটাস দেখা যায় যেগুলোর ‘আগা মাথা’ বোঝা দায়। ‘তুমি কেন এমন করলে আমার সাথে?’ কিংবা ‘আমি বুঝতে পেরেছি তুমি কী বলেছো’ এই ধরণের স্ট্যাটাস দিলে এই ‘তুমি’ টা কে সেটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানুষ বোঝে না। আর আসল ঘটনাটাই বা কী সেটাও কেউ বোঝে না। তাই এই ধরণের অনর্থক কথা স্ট্যাটাসে না লিখে ইনবক্সে লেখাই ভালো।

অসংখ্য ট্যাগ
কিছু একটা হলেই একগাদা প্রোফাইল ট্যাগ করার অভ্যাস আছে অনেকেরই। কোনো ছবিতে, অনর্থক স্ট্যাটাসে কিংবা ‘গুড মর্নিং’ এ কাছের দূরের সবাইকে ট্যাগ করে দেয়ার এই অভ্যাস ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই বিরক্তিকর।