হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে বিচারের আওতায় আনতে ২০ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী এ আলটিমেটাম দেন।
বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটের বাউন্ডারির ভেতর পুলিশি ব্যারিকেডের মধ্যে প্রতিবাদ সমাবেশে কাসেমী এ ঘোষণা দেন।
নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, “নাস্তিক-মুরতাদদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান পাস করে লতিফ সিদ্দিকীদের ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে।”
আগামী ২০ দিনের মধ্যে এ বিধান পাস করে লতিফ সিদ্দিকীকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, “তা না হলে তৌহিদি জনতা মাঠে নামতে বাধ্য হবেন।”
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব জুনাইদ আল হাবিব বলেন, “লতিফ সিদ্দিকী নামক কুলাঙ্গারকে ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে। সে একজন নাস্তিক-মুরতাদ। তার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না। নতুন আইন করে এই মুরতাদদের বিচার করতে হবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের আন্দোলন নাস্তিক-মুরতাদদের বিরুদ্ধে। আমরা এখানে পুলিশের সঙ্গে মারামারি করতে আসিনি। আমরা এসেছি ঈমানের দাবিতে। আমাদের আন্দোলন হবে শান্তিপূর্ণ।”
লতিফ সিদ্দিকীর সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে জোহরের নামাজের পর হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় তারা বাউন্ডারির ভেতরেই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
প্রসঙ্গত, নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে রোববার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল প্রবাসীদের মতবিনিময় সভায় হজ, তবলিগ জামাত ও সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন লতিফ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, আমি জামায়াতে ইসলামীর যত বিরোধী, তার চেয়ে বেশি হজ ও তবলিগ জামাতবিরোধী। লতিফ সিদ্দিকীর এ বক্তব্যের পর সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এক পর্যায়ে তাকে মন্ত্রিসভার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সব দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। নতুনবার্তা।