Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

লতিফ সিদ্দিকী দল থেকেও বহিষ্কার

latif-siddikiমন্ত্রিসভা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যপদ হারানোর পর এবার দলের সাধারণ সদস্যপদও হারালেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।

শুক্রবার গণভবনে অনুষ্ঠিত দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

chardike-ad

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন। অথচ নিজের পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে, তা তিনি টের পাচ্ছেন না।

এর আগে হজ, মহানবী (সা.) ও তাবলিগ জামাত নিয়ে চরম অবমাননাকর মন্তব্য করায় লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদ থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এরপর কেন লতিফ সিদ্দিকীকে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কার করা হবে না- সে ব্যাপারে জবাব চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। তিনি জবাব দিলেও তার জবাব সন্তোষজনক নয় বলে জানানো হয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। বৈঠকে তার দেওয়া জবাব নিয়ে অলোচনার পর তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সৈয়দ আশরাফ বলেন, লতিফ সিদ্দিকীকে কারণ দর্শাও নেটিস দেওয়া হয়েছিল। তিনি যে জবাব দিয়েছেন তা বিশ্লেষণ করে তার প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল করে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

লতিফ সিদ্দিকী এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দলে আপিল করার সুযোগ পাবেন না বলেও জানান আওয়ামী লীগের মুখপাত্র স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ।

দল থেকে বাদ পড়ায় লতিফের সংসদ সদস্যপদ থাকছে কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ইসিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে হজ ও তাবলিগ নিয়ে মন্তব্য করার পর থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছিল।

নিউ ইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতির অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী বলেছিলেন, ‘আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাত দুটোর ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীর যতটা বিরোধী, তার চেয়ে বেশি হজ ও তাবলিগের বিরোধী।’

এরপর বিভিন্ন জেলায় এই তার বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা হয়েছে, জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। তার গ্রেফতার ও বিচার চেয়ে কয়েকটি ইসলামী দল ২৬ অক্টোবর হরতালও ডেকেছে ।