উত্তর কোরিয়ায় আমেরিকার একটি গোপন মিশন বিমান বিভ্রাটে লজ্জাজনকভাবে বিলম্ব হয়েছে। দেশটিতে আটক আমেরিকার দুই নাগরিককে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য সম্প্রতি এ মিশন চালানো হয়।
মার্কিন নাগরিক কেনেথ বোয়ে এবং ম্যাথিউ মিলারকে আমেরিকায় ফিরিয়ে নেয়ার জন্য পিয়ংইয়ং-এ পাঠানো হয়েছিল ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক জেমস ক্ল্যাপারকে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ব্যক্তিগত দূত হিসেবে গত সপ্তাহে তাকে পিয়ংইয়ং-এ পাঠানো হয়। কিন্তু যাত্রাপথে বিমানে তেল নেয়ার সময় যান্ত্রিক বিভ্রাট দেখা দেয়ায় অনেক দেরি করে পিয়ংইয়ং পৌঁছান তিনি। এ ভ্রমণের জন্য তিনি পেন্টাগনের বিমান ব্যবহার করছিলেন।
অবশ্য যাত্রাপথের কোথায় এমন বিভ্রাটের মুখে পড়েছিল বিমানটি বা কি ধরণের যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিয়েছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেন নি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জেন সাকি।
কেনেথ বোয়ে এবং ম্যাথিউ মিলারকে সাথে নিয়ে মার্কিন বিমান বাহিনীর প্লেনে করে শনিবার ওয়াশিংটনে ফিরে গেছেন ক্ল্যাপার। তার বিমানটি একটি মার্কিন ঘাঁটিতে নেমেছে। উত্তর কোরিয়ায় দীর্ঘ কারাভোগ করেছেন বোয়ে এবং মিলার।
গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক তৎপরতায় যাতায়াতের কাজে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিমান বহর দিয়ে রেখেছে দেশটির বিমান বাহিনী। অবশ্য এ বহরের বিমানে গোলযোগের কারণে কূটনৈতিক মিশনে বিলম্বের বা অচলাবস্থা দেখা দেয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়।
বিমানে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়ায় চলতি বছর দু’দফা বাণিজ্যিক বিমানে করে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। আগস্টে বিশ্ব সফরের সময় প্রথম এ জাতীয় ঘটনা ঘটে। গতমাসে দ্বিতীয়বার তাকে একইভাবে ভিয়েনা থেকে দেরিতে আমেরিকায় ফিরতে হয়েছে।
এ ছাড়া, চলতি বছর সুইজারল্যান্ড এবং ব্রিটেন সফরের সময় কেরির বিমান যান্ত্রিক গোলযোগে পড়েছে। বোয়িং ৭৪৭-এর সামরিক সংস্করণ হিসেবে পরিচিত সি-৩২ বিমান ব্যবহার করেন জন কেরি। কিন্তু সুইজারল্যান্ড এবং ব্রিটেনে এ বিমানের যান্ত্রিক গোলযোগ সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে মার্কিন বিমান বাহিনীর বিশেষজ্ঞদের।
কারিগরি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক থেকে এ দুই ঘটনা যে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল সে কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন জেন সাকি। অবশ্য পিয়ংইয়ং-এ যাওয়ার জন্য ক্ল্যাপারকে একই বিমান দেয়া হয়েছিল কিনা সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি।