রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে মেজবাহ উদ্দিন (৭১) নামের এক লন্ডন প্রবাসীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে বনানীর ২৫/এ রোডের ৯১ নম্বর বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি তত্ববধায়ক সরকারের প্রধান ফখরুদ্দিন আহমদের আপন চাচাতো ভাই ছিলেন।
মেজবাহ উদ্দিনের ভাতিজা শাহের জামিল জানান, মেজবাহ উদ্দিন স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ১৯৫৮ সাল থেকে লন্ডনে বসবাস করেন। সেখানে তিনি একটি ব্যাংকে চাকরি করতেন। ১০ বছর আগে অবসরে যান। এরপর বার্ডলেস অব ইউকে নামে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন।
তারই অংশ হিসেবে তিনি দেশের কুড়িগ্রামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। যার দেখাশোনার জন্য মাঝে মধ্যেই দেশে আসতেন তিনি। সর্বশেষ ৩ নভেম্বর তিনি দেশে আসেন। এরপর কুড়িগ্রাম থেকে বুধবার বনানীর নিজ বাড়িতে ওঠেন। শুক্রবার সকালে মেজবাহ উদ্দিনের বোন ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি। এরপর বিষয়টি জামিলকে জানানো হয়। জামিল মেজবাহ উদ্দিনের বড় ভাই কর্নেল মাহতাব উদ্দিন আহম্মেদকে নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই বাসায় যান। অনেক ডাকাডাকির পরও ভেতর থেকে সাড়া না পেয়ে পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করে। ঘরের মেঝেতে তার লাশ পড়ে ছিল। নিহতের নাক দিয়ে রক্ত ক্ষরণ হয়।
জামিল জানান, তিনি শেখ শহিদুল ইমলামের চাচা শ্বশুর ছিলেন। শহিদুল ইসলাম প্রাধনমন্ত্রী শেখ হাসিনার আপন খালাতো ভাই। মেজবাহ উদ্দিন আট ভাই-বোনের মধ্যে পঞ্চম ছিলেন।
জামিল আরো জানান, লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। লন্ডন থেকে মেজবাহ উদ্দিনের স্ত্রী রানী আহম্মেদ ও দুই মেয়ে দেশে ফিরলে লাশ দাফন করা হবে।
বনানী থানার এসআই রবিউল ইসলাম লাশ জানান, লাশ ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।
বনানী থানার আরেক এসআই জিয়াউদ্দিন জানান, সুরতহাল দেখে মনে হয়েছে, এটি স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা। লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।