রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের দ্রুততর সময়ে শনাক্ত, প্রয়োজনে শরণার্থীদের স্থায়ী আবাস সনদ (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি) প্রত্যাখ্যান এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমাতেই অবৈধ অভিবাসী বহনকারী জাহাজ বা নৌকা ফেরত পাঠানোর অধিকার যুক্ত করে নতুন একটি অভিবাসন নীতি চালু করেছে অস্ট্রেলিয়া। খবর ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।
সমালোচকরা বলছেন, এ নতুন আইনের ফলে শরণার্থীরা তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত যেতে বাধ্য হবেন, যেখানে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে। সরকার বলছে, এর মাধ্যমে মানব পাচারের কুচক্রটিকে মোকাবেলা করা যাবে এবং শরণার্থীদের জীবন সুরক্ষিত হবে।
দুই দশক ধরেই অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সরকার দেশটিতে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অভিবাসন ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সাম্প্রতিকতম সংযোজন হিসেবে এসেছে নতুন এ আইন। আগের লেবার সরকারের প্রচলিত আইনুসারে, নৌকায় করে কোনো আশ্রয়প্রার্থী অস্ট্রেলিয়ায় এলে তাকে প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলে কোনো দুর্গম দ্বীপে বন্দি করে রাখা হতো এবং বলা হতো সে কোনো দিনই অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী হতে পারবে না।
গত বছর ক্ষমতায় এসেই টবি অ্যাবট এ ধরনের অনুপ্রবেশকারী নৌকাগুলোকে আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথেই ফেরত পাঠানোর জন্য দেশের নৌবাহিনীকে আদেশ দেন। জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক শরণার্থীগোষ্ঠীর পক্ষে কার্যক্রম পরিচালনা করা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা বলছে, এর মাধ্যমে শরণার্থীদের নিয়ে জাতিসংঘের নীতিমালা লঙ্ঘিত হওয়ার পাশাপাশি তাদের জীবন আরো ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেল।