সরকার ঘোষিত নতুন নিয়মে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় মুয়াল্লিম ফির সাথে বিমান ভাড়ার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। প্রতারণা রোধে মুয়াল্লিম ফির সাথে বিমান ভাড়া জমা দেয়ার এ নতুন নিয়মে হজযাত্রীরা অসুবিধায় পড়বেন এবং এতে হজযাত্রী কমে যেতে পারে বলে মনে করছে হাব। হাব নেতাদের মতে, এতে প্রতারকদের শাস্তি নয়, হজযাত্রীদের জন্য শাস্তি হচ্ছে।
গতকাল ২০১৫ সালের বেসরকারিভাবে হজ প্যাকেজ ঘোষণা উপলক্ষে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে হাব নেতারা এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ২০১৫ সালের জন্য বেসরকারিভাবে কোরবানির টাকা ছাড়া সর্বনিম্ন দুই লাখ ৯৬ হাজার ২০৬ টাকার হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। প্যাকেজ ঘোষণা করেন হাব সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাহার।
এক প্রশ্নের জবাবে হাব মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, হজ এজেন্সিগুলো হজযাত্রীদের জন্য বিমানের টিকিট সংগ্রহ করবে। কিন্তু বিমান ভাড়ার টাকা কেন সরকারি কোষাগারে জমা দেবো? নিবন্ধনের সময় মুয়াল্লিম ফির টাকা ছাড়া বিমান ভাড়ার টাকা এজেন্সিগুলো সরকারি কোষাগারে জমা দেবে না।
সংবাদ সম্মেলনে হাবের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এতে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় শুধু মুয়াল্লিম ফি বাবদ ৩০ হাজার টাকা জমা নেয়ার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি জানিয়ে বলা হয়েছে, বিমানের টিকিট মূল্য এক লাখ ২০ হাজার টাকা এই মুহূর্তে পরিশোধ করতে গেলে অহেতুক হজযাত্রীরা মানসিক চাপে থাকবেন। নিবন্ধনের ৩০ হাজার টাকা পরিশোধের পর যে টাকা বাকি থাকবে, তা মাসিক কিস্তিতে (৬ কিস্তি) পরিশোধের সুযোগ দেয়া হলে হজের তিন মাস আগেই শোধ হবে এবং টিকিটের অনিশ্চয়তাও কেটে যাবে।