Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যুক্তরাষ্ট্রে জামায়াত ছাড়া কোন দলেরই সদস্য তালিকা নেই

usa jamatযুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, এনডিপি, ন্যাপ, গণফোরাম, জাকের পার্টিসহ নামধারী শতাধিক রাজনৈতিক দল থাকলেও শুধুমাত্র জামায়াতে ইসলামী ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধিত কোন সদস্য তালিকা নেই।

কোন দলই হলফ করে বলতে পারবে না যে তাদের সদস্য সংখ্যা কত। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক কালচারে এই দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিবন্ধিত হওয়ার সংস্কৃতি রয়েছে।

chardike-ad

দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিবন্ধন বা তালিকার বিষয়ে তাদের মধ্যে কোন প্রকার জবাবদিহিতাও নেই বলে জানা গেছে।

এদিকে পুরোদমে দেশীয় স্টাইলে পরিচালিত রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ড নিয়ে মূলধারার রাজনীতিকসহ কমিউনিটির সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

সকল দলেরই সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সাংগঠনিক সম্পাদক, দফতর সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ প্রভৃতি পদ-পদবী রয়েছে।

এখন কমিউনিটিতে প্রশ্ন উঠেছে এসব গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবীধারী ‘রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাজ কী? তাদের দায়িত্ব কি?

অনুসন্ধানে জানা গেছে, দলগুলোর মধ্যে সাংগঠনিক নিয়ম-নীতি আর জবাবদিহিতা না থাকায় দলগুলোতে যা ইচ্ছে তা হচ্ছে। বিশেষ করে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনায় যারা অর্থ দিয়ে সাহায্য করেন তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তির কাছে অনেকেই জিম্মি হয়ে পড়েন। দলের জন্য যথেষ্ট ত্যাগ থাকলেও আর্থিক সমস্যার কারণে তিনি ‘লাইম লাইট’ এর বাইরে থাকেন। আর যিনি আর্থিক অনুদান দিয়ে সহযোগিতা করেন তিনিই মঞ্চে আসন পান, বক্তৃতার সুযোগ পান।

জানা গেছে, দলগুলোর সভা-সমাবেশের ব্যয় নির্বাহের জন্য উপস্থিত নেতাকর্মীদের অনুদান উত্তোলন নিয়েও নানা সময়ে ঘটে অঘটন। কে কত অনুদান দিচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেউ কেউ। এ নিয়ে প্রকাশ্যে হৈ চৈ-এর ঘটনাও ঘটে।

যুক্তরাষ্ট্র আ লীগ, বিএনপি, জাপা প্রভৃতি রাজনৈতিক দলের মাঠ পর্যায়ের একাধিক নেতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, দলগুলোর নেতারা দলের নাম ও দলের পদ-পদবী ব্যবহার করে ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত। আমরা দলগুলোর আদর্শে উজ্জীবিত বলেই মনের তাগিদে রাজনীতি করি। দলের সভা-সমাবেশে যোগ দেই। প্রতিবাদ সমাবেশ করি। কিন্তু আমাদের লাভের লাভ কি? কমিটি থাকলেও দলগুলো পরিচালনায় কোন সাংগঠনিক নিয়ম-নীতি মানা হচ্ছে না। নেই দলগুলোর মধ্যে আর্থিক স্বচ্ছতা। ফলে দলগুলোর নেতাকর্মীদের মধ্যে বাড়ছে দলীয় কোন্দল, বিভক্তি, ক্ষোভ। সেই সঙ্গে নেই কারো কোন দায়বদ্ধতা।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগ-বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আমাদেরকে দল করতে হয়। তাই সাংগঠনিক নিয়ম-কানুন মেনে চলা সম্ভব হয়ে উঠে না।

জানা যায়, আ.লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার দিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ জাতিসংঘ ভবনের সামনে আনন্দ সমাবেশ আর যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।

কয়েক হাতের ব্যবধানে আ.লীগ-বিএনপির এ সমাবেশ চলে। ওই দিন আ.লীগের সমাবেশে দৃশ্যত: নেতাকর্মীর উপস্থিতি কম হয় এবং এজন্য প্রধানমন্ত্রীর পুত্র ও তার উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ক্ষোভও প্রকাশ করেন। ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীরাও।

অপরদিকে বিএনপির সমাবেশে শত শত নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়। এ ব্যাপারে দলের এক নেতা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের নেতৃত্বে দৈন্যতা আর সাংগঠনিক নিয়ম-কানুন না থাকায় দলীয় নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে অনেকেই জাতিসংঘের সম্মুখের সমাবেশে যোগ দেননি।

যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগ-বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের দাবি দলগুলোর মধ্যে সাংগঠনিক নিয়ম-নীতি বজায় রাখার মধ্য দিয়ে আর্থিক স্বচ্ছতা আর সদস্য নিবন্ধিকরণ করার উদ্যোগ নেয়া হোক। শীর্ষনিউজ।