Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রুবেল-হ্যাপির প্রেমালাপ

rubel-happyক্রিকেটার রুবেল হোসেন ও উঠতি চিত্র নায়িকা নাজনিন আক্তার হ্যাপির মধ্যে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের একটি অডিও ফাঁস হয়েছে। পাঠকদের সামনে তার কিছু অংশ তুলে ধরা হলো :

রুবেল : এটা তুমিও জানো আমিও জানি

chardike-ad

হ্যাপি : আমি এগুলো শুনতে চাইনা

রুবেল : এর মতো চরম সত্য কথা দুনিয়াতে আর নেই।

হ্যাপি : এটা কিসের সত্য কথা ? আপনি আমাকে আজকে যে মনোভাব দ্যাখাইছেন না? আপনি একজন সেলিব্রেটি আমি আপনার মত সেলিব্রেটিকে…..(অশ্লীল) সে যত বড় সেলিব্রেটি হোক না কেন?

রুবেল : মেজাজটা গরম করছো কেন? কী বলছো তোমার মাথা ঠিক আছে? তুমি এগুলো কী বলছো ? তোর সাথে  সেলিব্রেটি…(অশ্লীল)

হ্যাপি : না আমার মনে হচ্ছে আমি একজন সেলিব্রেটিকে ফোন দিছি, যে মহা ব্যস্ত।

রুবেল : সেলিব্রেটিকে ফোন দিছি মানে আমার শরীরের অবস্থা খারাপ।

হ্যাপি : না, আপনিতো আজ প্রথম মাঠে নামছেন, প্রথম দিন খেলে গায়ে ব্যথা হয়ে গেছে।

রুবেল : তোমার কোনো আইডিয়া নেই, আমি তোমাকে বলি টেস্ট ক্রিকেটে কী রকম কষ্ট…(অশ্লীল)। আমার সারা শরীর যা ব্যথা পরের টেস্ট নাও খেলতে পারি। তুমি তাতো শুনবানা। …. (প্রকাশ অযোগ্য)। ওইখান থেকে আসলাম। আসার পর আমার এক খালা আসলো খুলনায় এবং সাথে অনেক গুলা পিচ্চি-পাচ্চা সাথে নিয়ে। এরপর অনেক কয়েক জন প্লেয়ারের সাথে তাদের সাথে অনেক ছবি-টবি তুলে দিলাম। অনেক খন ছিলো, প্রায় ৪৫ মিনিটের মতো। তারপর ছবি-টবি তুলে চলে গেছে। তারপর ডিনার করতে সাকিব ভাইদের বাসায় যাই। এরপর আসলাম। আসার পর এক বাইনচত ফোন করে বলল, আমার ফোন নাকি বন্ধ। আমার ফোন দু’টা, দুটো ফোনই খোলা। আমি ওরে বললাম ওই শালার পোত আমার নাম্বার তো দুটাই খোলা। এরপর ওই নাম্বার দিয়ে ওরে ফোন দিলাম। আমি এমন একটা বুকাচোদা যে এই নাম্বার দিয়েই ফোন দিসি। তুমিও ওই টাইমে ফোন দিসো। তুমি যে আমার এই নাম্বারে ফোন দিসো আমি তো ভয়ে কাঁপতেছি। আর আমি জানতামই যে তুমি এই নাম্বারে ফোন দিতে পার। আমি তোমারে চিনিনা! তুমি ভাব কী বাবু। আর তুমি কী মনে কর আমি এ রকম কথা বলব কোন মেয়ের সাথে?

হ্যাপি : আর কোন মিথ্যা কথা শুনব না। আমি আর কোন বোকামি করব না। আমি আর তোমাকে বিশ্বাস করি না। একটুও না।

রুবেল : সত্যি আমি যা বলছি তাতে একটাও মিথ্যা নাই।

এ সময় দুজনে একই সাথে কথা বলতে বলতে রুবেল বলেন, চুপ চুপ চুপ চুপ কর না। একেবারে ঠোঁট…(প্রকাশ অযোগ্য)। আমার কথা শোন। শোননা…উফ। আমি তো জানি তুমি আমার এই নাম্বারে ফোন দিবা। সব কিছুই জানি ঠিক আছে। এবং আমি তাও জানি যে তুমি আমারে ওই নাম্বারেও ফোন দিবা। কারণ সন্ধ্যার পরে তোমার সাথে আমার কথা হয় নাই। আর সত্য কথা আমি আজ অনেক ব্যস্ত ছিলাম, ঠিক আছে? আমি সাড়ে সাতটা না আটটা পর্যন্ত ডাক্তারের কাছে ছিলাম। বিশ্বাস কর, আমি টাসকে ছিলাম। তারপর ওইখান থেকে আমার খালা আসছে আমি তার সাথে দেখা করতে গেছি। তিনি অনেকক্ষণ ছিলেন আমার সাথে। রেস্টুরেন্টে বসা। সেখানে অনেক ছবি-টবি তুললাম। তারপর সাকিব ভাইকে ফোন দিলাম। সাকিব ভাই আসলো এবং তার সাথে ছবি টবি তুলে দিলাম। বিশ্বাস কর ‘বাবু’। আর তুমি তো জান যে আমি তোমার সাথে কথা বলব।

হ্যাপি : হ্যাঁ, আপনার কথা বলতে হবে তাই আপনি বলবেন…তাইতো! আমার কোন দরকার নাই। আমি সব বুঝি। আমি আসলে খুবই বোকা। নিজের ভালো বুঝি না।

রুবেল : তোমার বোঝা উচিত হ্যাপি। হ্যাপি শোন তোমার তো এটা বুঝা উচিত যে আমার আসলে বিজি সময় থাকতেই পারে তাই না। আমার প্রপেশনটা তোমার বুঝতে হবে। আমার যদি কোন মিটিং থাকত? টিমের কোন ডিনার থাকতো তাহলে হ্যাপি! তাহলে কি করতা বল। এই প্রপেশনে বিজি থাকাটা খুবই স্বাভাবিক হ্যাপি। আমাদের প্রপেশনটাই এরকম। আমাদের বিজি সময় থাকতে পারে হ্যাপি। তারপরও আমি যখনই ফ্রি হই তখনই তোমাকে ফোন করি, তোমাকে নক করি। তুমি ঝগড়া…(অশ্লীল) তাই আমি তোমার সাথে যোগাযোগটা নিয়মিত রাখার চেষ্টা করি। তারপরও যদি আমার সাথে এমন কর হ্যাপি তাহলে কেমন হয় বল।

হ্যাপি : ওকে থাক, তোমাকে এতো কষ্ট আর করতে হবে না।

রুবেল : তুমি শুধু শুধু আমাকে ভুল বুঝতেছ হ্যাপি। আমি আসলে আজ অনেক ব্যস্ত ছিলাম। আর তুমি খুব ভালো করেই জানো যে আমরা যখন তখন বের হতে পারি না। আর শরীরের যে আবস্থা আমার এই অবস্থায় তো ইম্পসিবল। তুমি আমাকে উল্টা-পাল্টা কোন ব্লেম দিবা না।

হ্যাপি : আমি আপনাকে ব্লেম দিতে চাচ্ছি না। আমি ফেসবুকে ব্লক দিসি, আমার ফোনে ব্লকটা হচ্ছে না। তুমি আমাকে কী বলছো যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে?

রুবেল : হ্যাপি আমি কী করছি বল? কী করলাম এমন আমি?

হ্যাপি : আপনি আমার সাথে কিছু করেন নাই। আমি আপনার আর কোন কথা বিশ্বাস করতে পারব না। আমি তখন সিওর ছিলাম যে আপনি কারও সাথে কথা বলেছেন।

রুবেল : আচ্ছা তুমি আমার কথাটা শুনবা তো।  আমার কথা বিশ্বাস করবা তো।

হ্যাপি : আপনি দুইটা উইকেট পাইছেন, তো আপনি অনেক সুখী, তো আপনার সুখী মুহূর্ত শেয়ার করার মতো পারসন তো আমি নই। আপনার সুখী মুহূর্ত শেয়ার করবেন তো অন্য কারও সাথে।

রুবেল : আরে ধুর… (অশ্লীল) আমি কোন মেয়ের সাথে কথা বলছি নাকি। …আরে ধুর তুই আমার ওই নাম্বারটা তোর ধারে রাখিস। বাল…

হ্যাপি : আমার কোন দরকার নাই। এই সব বিষয়ে আমি আর নাই।

রুবেল : সত্যি কথা বলতে (অশ্লীল) এই জন্যই তোমার উপর আমার মেজাজটা গরম হয়।…থাকেনা অনেক। বন্ধু বান্ধব ফোন দিতে পারে না? তোমার জন্য কি আমি সব বন্ধু-বান্ধব ক্যান্সেল করে দিব নাকি? লাইফটাকে কি পুরা…করে রাখব নাকি আমি। বন্ধু-বান্ধবের সাথেও কথা বলতে পারবোনা আজব…..এগুলা কি হ্যাপি হ্যাঁ। আমি ছেলে বন্ধুদের সাথে কথা বলতে পারব না। দেখা করা তো বন্ধই করে দিছি।

হ্যাপি : আপনিতো ছেলে বন্ধুদের সাথে কথা বলছিলেন না। আপনি যতই বলেন না কেন, আমি তো এটা বিলিভ করবই না।

রুবেল : আচ্ছা তোমার কি মাথা গেছে হ্যাপি। তুমি আমারে ফোন দিবা এটা আমি জানি। তো এই ভয়টা তো আমার আছে। ফোন দিয়ে ওয়েটিং পেলে যে চিল্লা-চিল্লি করবা সে ভয়টা তো আমার আছে।

হ্যাপি : আপনার কিসের ভয়। আপনার তো কোন ভালোবাসা নাই। ভালোবাসা থাকলে ভয় থাকতো আপনার।

রুবেল : বাবু তোরে আমি ভালোবাসি না এই কথাটা উচ্চারণ করেনা বাবু। তাহলে তুমি মরে যাবা। চুপ কর…

হ্যাপি : জানি! আপনার সাথে আমার রিলেশন হওয়ার পরে এই খুলনা সিরিজটিতে ভালো খেলছেন। তুলনা মূলক ভাবে। মানে পেসারদের জন্য অনেক কঠিন উইকেট তবুও তুমি দুইটি উইকেট পাইছ, এক ওভারে। এটা তোমার জন্য বড় একটা সিগমেন্ট। তো

রুবেল : বাবু শোন তোমার সাথে রিলেশন হওয়ার পরে আমি মাত্র একটা ম্যাচ খেলছি। আর এই একটা ম্যাচ।

হ্যাপি : সেটাই। এই দুই ম্যাচে তুমি ভালো করনি? এই ম্যাচে তো ভালো করছ। তো…

রুবেল : ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমি ভালো খেলছি। আগে একটাতেও ভালে খেলিনি কে বলছে? টেস্টে আমি ভালো বল করেছি। উইকেট পাইছি…বোলিং আমার ভালো হইছে। আর এতে সবাই খুশি ঠিকআছে। কোচার-মোচার থেকে সবাই খুশি। তার পরের ম্যাচটাতে আমার ঘাড়টা লক হয়ে গেছে আমি খেলতে পারিনি।

হ্যাপি : হ্যাঁ ভালো লাগে। দর্শকদেরই ভালো লাগে প্লেয়াররা উইকেট পেলে তাদেরও ভালো লাগে। তো আজকে বুঝলাম…

রুবেল : তোমার সাথে রিলেশন হওয়ার আগে মনেহয় নিউজিল্যান্ডের সাথে খেলা হয়েছে তাইনা?

হ্যাপি : সেটা তো আমি জানিনা। আমি তো খেলা দেখিনা। আগে খেলা দেখতামইনা।

রুবেল : বাবু….তোরে বাবু আমি অনেক বেশি ভালোবাসি বাবু। এতোটা বেশি যে আমি বুঝাতে পারব না বাবু। আর সিম্পল বিষয় নিয়ে তুমি আমার মনটা খারাপ করে দিচ্ছ।

হ্যাপি : কোন সিম্পল বিষয় না। কিসের সিম্পল?

রুবেল : কালকে আমার ব্যাটিং আছে, কালকে আমর বোলিং আছে। কালকে অনেক টাফ একটা দিন যাবে আমাদের জন্য। কালকে ম্যাচ জিতব না হয় ড্র হবে ঠিকআছে। এগুলো নিয়ে ঝগড়া করোনা।

হ্যাপি : আমি তোমার সাথে কোন রকম ঝগড়া করছিনা। আমি তোমার সাথে কথা বলব না। আমার অনেক হয়ে গেছে আসলে। আমার আসলে বুঝা উচিৎ যে, এখন অন্তত বুঝা উচিৎ একটা ছেলে আমার সাথে কি করছে। আমি এতো গাধা কেন? মাঝেমাঝে মনে হয় নিজের মাথাটা দেয়ালের সাথে ফাটাই।

রুবেল : আস্তে কথা বল। আস্তে কথা বলনা।

হ্যাপি : আমার বাসায় আমি চিল্লায়ে কথা বলব, তোর কি?

রুবেল : (কিছুক্ষণ চুপ থেকে)…..আমার বন্ধু-বান্ধব কয় ভাই তুমি একটু টেনশন না করে খেলায় মন দাও। আর… টেনশন মানে…সব টেনশনে…

হ্যাপি : আচ্ছা তোমার কথা শেষ। তুমি তো বলছিলা যে, তোমার কিছু কথা শোনার জন্য। ঠিক আছে শুনছি। শেষ। আমার এয়ারটেলের এই…বালের এই এয়ারটেলের নেটওয়ার্কের খালি কয়েকদিন পরপর প্রোবলেম হয়।

রুবেল : আচ্ছা হ্যাপি তোমাকে একটা কথা বলব?

হ্যাপি: হ্যাঁ বল।

রুবেল : কথা হচ্ছে কি বাবু, তোমার সাথে আমার রিলেশন হওয়ার পর থেকে তুমি আমাকে একটু শান্তি মতো টেনশন মুক্ত থাকতে দাওনি। এক দিন পরপর তোমার সাথে ঝগড়া লাইগাই আছে আমার। আমি কিছু করিনি, তুমি এটা বুঝতে পার যে ও এটা করেনি, তবুও। এক-দুইদিন পর বুঝ তুমি।

হ্যাপি : তাইনা? এইবার তুমি দেখ আমি দু-একদিন পর বুঝি কিনা? আমি কালকে আউটডোর যাচ্ছি। ১৮ তারিখ ঢাকায় ফিরব। কাজে বিজি থাকব।  সো তোমাকে ভুলে থাকা আমার জন্য একটু ইজি হবে। আর আমি তো তোমার নাম্বার ব্লক করছিই। ফেসবুকেও ব্লক করছি। কক্সবাজারে সেরকম ফেসবুকিং করতেও পারব না। কক্সবাজার এবার টপ একটা মিশন আমার। এই মুভিটা বড় একটা চ্যালেঞ্জ আমার জন্য। কারণ এটা অনেক বড় বাজেটের। অলমোস্ট দুই কোটি টাকার মতো হবে। গান গুলো বিশাল বাজেটের।

রুবেল : ধুর…(অশ্লীল) খেলার গুষ্টিটা মারে আমার। যে দিন…ঝগড়া হয় সেদিন… ভালো খেলিনা।

হ্যাপি : কে বলছে? তুমি কালকেও অনেক ভালো খেলবা। তুমি যে মেয়ে দুইটার সাথে শেয়ার করছ যে কালকে তুমি দুইটা উইকেট পাইছ…

রুবেল : আরে ধুর চুপ। ফোন রাখ…

হ্যাপি : ওকে ঠিক আছে। বাই

শীর্ষনিউজের সৌজন্যে।