Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিন হাজার জঙ্গির ফাঁসি চান পাক সেনাপ্রধান

pak-army

৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তিন হাজার জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের প্রতি দাবি জানিয়েছেন পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ।

chardike-ad

বুধবার এক টুইটার বার্তায় রাহিল শরীফ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে বলছি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিন হাজার সন্ত্রাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে।’

এর মাত্র একদিন আগে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) পেশোয়ারে অবস্থিত পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী পরিচালিত এক বিদ্যালয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ১৩২ শিক্ষার্থী সহ ১৪১ জন। এ ঘটনায় তিনদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয় পাকিস্তানে। হতাহতদের বেশির ভাগই পাক সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের স্বজন।
হামলার পরপরই এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে চরম প্রতিশোধ গ্রহণের পাশাপাশি জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান সহ সব চরমপন্থীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি প্রদান করেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান রাহিল শরিফ।

জঙ্গিদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার পাশাপাশি জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতিশীলদের ব্যাপারেও হুঁশিয়ারি প্রদান করেন জেনারেল রাহিল শরিফ। পেশোয়ার হামলার বিভীষিকার পর জেনারেল শরিফ টুইটারে বলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে। যারা সন্ত্রাসীদের পক্ষে কথা বলে এখন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সেনাপ্রধান টুইটারে অনেক বেশি তৎপর। পাকিস্তানে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ থাকলেও পর্দার অন্তরালে দেশটির সেনাপ্রধানকেই সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

পেশোয়ার ট্রাজেডির পর তালেবানদের বিরুদ্ধে চরম প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়ে বুধবার জেনারেল শরিফ টুইটে আরও লেখেন, ‘পাকিস্তান সেনাবাহিনী তোমাদের সন্ধানে আসবে এবং তোমাদের ধ্বংস করবে। তারা নারী ও শিশুদের লক্ষ্যবস্তু করবে না। তারা তোমাদের মতো কাপুরুষ নয়।’

এ ছাড়া জঙ্গিবিরোধী চলমান লড়াইয়ে টুইটারে পাকিস্তানের সাধারণ জনগণের সমর্থন চান জেনারেল শরিফ। তিনি বলেন, ‘প্রিয় পাকিস্তানের জনগণ উঠে দাঁড়ান ও সমর্থন করুন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এখন জারবে আজব এবং খাইবার ১ অভিযানে। আমরা আমাদের মাতৃভূমি থেকে টিটিপিকে অবশ্যই নির্মূল করবো।’
এ ছাড়া টুইটে তেহরিক-ই-তালেবানের (টিটিপি) প্রতিও চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাহিল শরিফ, ‘টিটিপির জন্য বার্তা। তোমরা আমাদের শিশুদের হত্যা করেছো, এখন তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে ভয়াবহ পরিণতি।

এর মূল্য দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হও। পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিহত প্রত্যেক ছোটো ফেরেশতার প্রত্যেক ফোঁটা রক্তের প্রতিশোধ নেবে। এটা আমার অঙ্গীকার।’
অবশ্য পাকিস্তানের অশান্ত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উত্তর ওয়াজিরিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়ায় চলা এই দুই অভিযান রাজনৈতিক অনুমোদন ব্যতিরেকেই শুরু করেছে পাক সেনাবাহিনী।