ইবাদত বন্দেগি ও জিকির আসকারের মধ্য দিয়ে গতকাল শনিবার তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিন পার করেছেন মুসল্লিরা। তবে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন তারা। আজ আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার ৫০তম আসর।
তাবলিগের ছয় উসুলের (মৌলিক বিষয়ে) ওপর গতকাল বাদ ফজর ভারতের মাওলানা মো. শওকত আলীর বয়ানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের বয়ান শুরু হয়। এ বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা নুরুর রহমান। এর আগে শুক্রবার রাতে এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে মুসল্লিরা দুর্ভোগ পোহান। গতকাল সকালেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ে। বৃষ্টির পানিতে ভিজে যায় অনেক মুসল্লির বিছানা ও জামা-কাপড়। তবে প্রতিকূল আবহাওয়া ও ২০ দলের অবরোধ উপেক্ষা করে গতকাল দেশের অনেক স্থান থেকে মুসল্লিদের আগমন অব্যাহত ছিল।
বাদ জোহর বয়ান করেন মাওলানা খোরশেদ, বাদ আসর বয়ান করেন মাওলানা মো. জাহুর এবং বাদ মাগরিব বয়ান করেন মাওলানা আহাম্মদ লাট। আজ দিল্লির মাওলানা সা’দ আহমেদের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করার কথা রয়েছে।
যৌতুকবিহীন বিয়ে: গতকাল বাদ আসর ১২১ জোড়া যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ে পরিচালনা করেন মাওলানা মো. জুহায়ের। তাবলিগের রেওয়াজ অনুযায়ী ইজতেমার দ্বিতীয় দিন বাদ আসর বয়ান মঞ্চের পাশে বসে যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর। কনের সম্মতিতে বর ও কনে পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে ওই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ের পর নবদম্পতিদের সুখ-সমৃদ্ধিময় জীবন কামনা করে দোয়া করা হয় এবং মঞ্চের আশপাশের মুসল্লিদের মাঝে খেজুর ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
তিন মুসল্লির মৃত্যু: শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন— বরিশালের টিকাম্বর এলাকার আলী আজিম হাওলাদার (৬৫), ময়মনসিংহের আবুল হাসেম (৬০) ও নীলফামারীর গোলাম আযম খান (৫৮) হূদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। গতকাল তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এনিয়ে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে সাত মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। প্রথম পর্বে মৃত্যু হয় ১০ মুসল্লির।