Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দক্ষিণ কোরিয়ার গেমিং শিল্প

skorea-gaming

দক্ষিণ কোরিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় ইন্টারনেট গেমস, আর এই জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করেই দেশটিতে গড়ে উঠেছে বিশাল গেমিং শিল্প। তবে গেমিং এর নানা নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ায় বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে এই শিল্পে।

chardike-ad

দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষের জন্য কম্পিউটার গেম এখন আর শুধু শখ বা নিছক বিনোদন নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে দৈনন্দিন জীবনের এক অপরিহার্য অংশ। আর ভক্তদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিয়মিত আয়োজন করছে ই-স্পোর্টস প্রতিযোগিতা ও প্রদশর্নীর ইভেন্ট।

‘জি-স্টার ২০১৪’ নামের এই ইভেন্টে ৪ দিনে অংশগ্রহণ করে প্রায় ২ লাখ মানুষ । নতুন নতুন গেম নিয়ে ভক্তদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে, দেশ-বিদেশের প্রায় হাজার খানেক প্রতিষ্ঠান । দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেখিয়ে এসব ইভেন্টে তৈরী হচ্ছে গেমিং জগতের নিত্যনতুন সেলিব্রিটি। আর শ্বাসরুদ্ধকর খেলা বিশাল পর্দার সামনে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছে হাজার হাজার দর্শক।

তবে কম্পিউটার গেমসের গুণমুগ্ধ দর্শকের পাশাপাশি কট্টর সমালোচকের সংখ্যাও কম নয়। গেমসের প্রতি মানুষের ক্রমবর্ধমান আসক্তি আর গেমসে অতিরিক্ত সহিংসতার ব্যবহার দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে অনেকের জন্য।

এ সমস্যার মোকাবেলায় ২০১১ সালে ‘অনলাইন গেম শাটডাউন’ নামে আইন জারি করে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। এ আইন অনুযায়ী, মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত ১৬ বছরের কমবয়সীদের জন্য অনলাইন গেম খেলা নিষিদ্ধ । তবে অভিভাবক, চিকিৎসক ও বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠী এই উদ্যেগকে স্বাগত জানালেও এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও গেমাররা।

কোরিয়ার কম্পিউটার গেম সোসাইটির প্রধান লি ওন-হিয়াং বলেন,” শুধু কঠোর আইন প্রণয়ন করে সরকার এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। বরং কিশোর-কিশোরীরা যেন সুন্দরভাবে তাদের অবসর সময়টাকে কাজে লাগাতে পারে সেজন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে সরকারকে।”

গ্যাংগেসো ইন্টারনেট আসক্তি পরামর্শ কেন্দ্রের প্রধান চি হিয়ুন সোয়েব জানান,” ছাত্ররা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাই আমি মনে করি ‘শাটডাউন’ পলিসির মত কঠিন বিধিনিষেধ আরোপের কোন বিকল্প নেই।”

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারী হিসেব অনুযায়ী, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৭ ভাগই ইন্টারনেটের প্রতি আসক্ত। আবার, নতুন নতুন গেম উদ্ভাবন করে গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তুলেছে বিশাল রপ্তানী শিল্প। এই দুই পক্ষেরই কল্যাণ নিশ্চিত করে এমন আইন প্রণয়ন করাই এখন দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ।