Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ধোনি-কোহলি দ্বন্দ্বে ভারতীয় ক্রিকেট দলে অশান্তি

বিরাট কোহলির সেই রিটুইট
বিরাট কোহলির সেই রিটুইট

ভারতের ক্রিকেট ড্রেসিং রুমে দুই তারকা মহেন্দ্র সিং ধোনি আর বিরাট কোহলি-র মধ্যে সব যে ঠিকঠাক চলছে না, তা এখন একেবারে দিনের মতো পরিষ্কার হয়ে উঠছে। ফলে বিশ্বকাপের মাত্র আড়াই সপ্তাহ আগে বর্তমান ওয়ান-ডে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের ঘরে এখন অশান্তির আঁচ!

কানাঘুষো চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই – কিন্তু ঝুলি থেকে বেড়ালটা বেরোয় রবিবার। যেদিন বিরাট কোহলি তাঁর নিজস্ব টুইটার পেজে ধোনি-বিরোধী একটি প্রতিবেদন রিটুইট করেন। শুধু তাই নন, সেটিকে নিজের ফেভারিটের তালিকাতেও রাখেন কোহলি।

chardike-ad

ওই প্রতিবেদনটিকে শুধু ধোনি-বিরোধী বললে অবশ্য কিছুই বলা হয় না। ডিএনএ নিউজ পোর্টালে ওই প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল ‘মুদগল রিপোর্টে উল্লিখিত রহস্যময় দুনম্বর ব্যক্তিটি কি এম এস ধোনি?’

সেখানে বলা হয়, আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ের তদন্তে নিযুক্ত মুদগল কমিটি তাদের রিপোর্টে এমন একজনের কথা উল্লেখ করেছে – যার সঙ্গে বেটিংয়ে দোষী প্রমাণিত গুরুনাথ মেয়িপ্পানের সরাসরি যোগাযোগ ছিল।

প্রতিবেদনটির বক্তব্য ছিল, এই ব্যক্তিটি আর কেউ নন – চেন্নাই সুপার কিংস দলের অধিনায়ক এম এস ধোনি। ধোনি নিজে অবশ্য আগাগোড়াই দাবি করে এসেছিলেন, মেয়িপ্পানের সঙ্গে চেন্নাই সুপার কিংসের কোনও সম্পর্কই ছিল না, যদিও সে দাবিও পরে ধোপে টেকে নি।

এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১১ ডিসেম্বর ২০১৪তে। কিন্তু তার প্রায় দেড় মাস পর বিরাট কোহলি যখন সেটি রিটুইট করেন, তখনই তোলপাড় পড়ে যায় ভারতের ক্রিকেট মহলে।

ঘটনাচক্রে ঠিক তার আগেই এম এস ধোনি তাঁর নীরবতা ভেঙে সাংবাদিকদের কাছে বলেছিলেন, স্পট ফিক্সিং নিয়ে যদিও তার বিরুদ্ধে কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগই নেই – তার পরও তাঁর নাম নিয়ে জল্পনা চট করে থামবে না বলেই তাঁর ধারণা।

আর এর পরই বিরাট কোহলির সেই রিটুইট – যাতে ক্রিকেট ভক্তরা দুয়ে দুয়ে চার করে ধরে নেন ধোনির মন্তব্যের পর তাঁকে খোঁচা দিতেই ভারতের ওয়ান-ডে টিমের ভাইস ক্যাপ্টেন পুরনো ওই প্রতিবেদনটি তুলে এনেছেন।

রিটুইটটি কোহলির পেজে ছিল বড়জোর ঘন্টাদুয়েক, বিকেল সোয়া তিনটে নাগাদ সেটি ডিলিট করে দেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সেই রিটুইটের স্ক্রিনশট অনলাইনে হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছে।

পরদিন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যখন এম এস ধোনি আর বিরাট কোহলির পরস্পরকে জড়িয়ে ধরা পুরনো একটি ফাইল ছবি পোস্ট করে দেশবাসীকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা’ জানাল, তখনই সেই সন্দেহটা আরও গাঢ় হল।

এর কারণ, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এভাবে শুভেচ্ছা জানানোর কোনও নজির নেই। তারপর কোহলি আর ধোনির জড়িয়ে ধরার ছবি পোস্ট করে তারা আসলে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে – ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তদের এই ধারণাটাই এতে আরও বদ্ধমূল হল।

গত মাসেই অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝপথে টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে আচমকা অবসর নিয়েছেন ধোনি, সে দায়িত্ব এখন কোহলির কাঁধে। কিন্তু ভারতের ওয়ান-ডে আর টেস্ট ক্যাপ্টেনের মধ্যে সুসম্পর্কটা দারুণ এমনটা কিন্তু বলা যাচ্ছে না!

ব্রিসবেন টেস্টের মাঝে বিরাট কোহলি আর শিখর ধাওয়ানকে ঘিরে ড্রেসিং রুমে ‘আনরেস্ট’ বা অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল – সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা বলে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন এম এস ধোনি।

বিশ্বকাপের আগেও ভারতের ড্রেসিং রুমে সেই অস্থিরতার ঝড় বইছে – সেই লক্ষণ কিন্তু স্পষ্ট।

সুত্রঃ বিবিসি বাংলা