Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে করণীয়

shock

আজকাল শহর, শহরতলি এবং গ্রামেও বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা চালু রয়েছে। অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিলে যেকোনো সময় তড়িতাহত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিদ্যুৎপ্রবাহ বা কারেন্ট দুই ধরনের। এসি (AC)কারেন্ট ও ডিসি (DC)কারেন্ট। এসি কারেন্ট আকর্ষণ করে টেনে নেয়। ডিসি কারেন্ট শুধু ধাক্কা মারে। সে জন্য এসি কারেন্ট বেশি মারাত্মক। ভেজা কাপড় বা গাছের সাথে বিদ্যুৎপ্রবাহের সংযোগের ফলে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এগুলো স্পর্শ করলে নিজেও তড়িতাহত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

chardike-ad

মূলত ভোল্টেজই ইলেকট্রিক শকের দ্বারা মৃত্যুর জন্য দায়ী। কারেন্ট হচ্ছে একক সময়ে কতটুকু চার্জ কোন পরিবাহকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হবে তার পরিমান। ভোল্টেজ হচ্ছে সেই কাজ যা এই আধানকে ফ্লো করায়। তাই ভোল্টেজ বেশি হলেই প্রচুর পরিমান চার্জ দ্রুত বেগে প্রবাহিত হতে পারে। মানুষের শরীরের ৭০ ভাগই পানি। তাই মানুষ বিদ্যুতের জন্য সুপরিবাহক। হাই ভোল্টেজের কারেন্ট মানুষের হার্টবিটকে বাধা দেয়, হার্টকে নিজের মত চলতে দেয়না। তাই হার্ট এটাক হতে পারে। এছাড়া শরীর পুড়ে যাওয়া, ব্রেন ড্যামেজ এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাসেও সমস্যা দেখা দেয়। একারণেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে। কিন্তু মানুষ লো ভোল্টেজে শক খেলে কখনো শুধু আহত হতে পারে, কখনো টের নাও পেতে পারে(যেমন ১.৫ ভোল্টের পেন্সিল ব্যাটারির শক)।

করণীয়:

১. কারো শরীরে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে গেলে বা কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে সাথে সাথে মেইন সুইচ বন্ধ করে দিতে হবে।

২. কোনো কারণে সুইচ বন্ধ করতে না পারলে শুকনাকাঠ দিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে ছাড়িয়ে দিতে হবে।

৩. কাঠ না পেলে শুকনা কাপড় হাতে জড়িয়ে ধাক্কা দিতে হবে।

৪. কখনো খালি হাতে ধরলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিপদ ঘটতে পারে।

৫. কখনো গায়ে পানি দেবে না।

৬. শ্বাসক্রিয়া না চললে কৃত্রিমভাবে শ্বাসকার্য চালাতে হবে।

৭. যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।