Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মাথা ঢাকেন নি মিশেল ওবামা: প্রসঙ্গ টুইটারে

সউদি আরবে খোলা মাথায় মিশেল ওবামা
সউদি আরবে খোলা মাথায় মিশেল ওবামা

সউদি আরবের বাদশা আবদুল্লাহ মৃত্যুর পর সেখানে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা, এবং অন্যন্য রাষ্ট্র নেতারা।

অনেকেই খেয়াল করেছেন যে সউদি আরবে মিশেল ওবামা মাথা ঢাকা কোন স্কার্ফ বা এধরণের কাপড় দেন নি। মাথা ঢাকেন নি জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মারকেলও।

chardike-ad

অনেকেই ভেবেছিলেন এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আরবরা নিন্দার ঝড় তুলবেন। কি প্রতিক্রিয়া হয় এর – সেদিকে নজর রেখেছিল বিবিসি ট্রেন্ডিং।

টুইটারে অবশ্য ‘হেডস্কার্ফবিহীন মিশেল ওবামা’ এবং ‘মিশেল ওবামার বেহায়াপনা’ এই নামে দুটি আরবি হ্যাশট্যাগ চালু হয়েছিল। এটা টুইট হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার বার।

সংখ্যাটা ছোট নয়, কিন্তু সউদি আরবে টুইটারের জনপ্রিয়তার নিরিখে এটা খব বড় কিছুও নয়।

কিছু বিদেশী সংবাদমাধ্যম অবশ্য এটাকেই ‘সামাজিক মাধ্যমে বিরাট বিতর্ক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। কিন্তু বিবিসি মনিটরিং বলছে, আরব বিশ্ব থেকে যারা টুইট করেছেন – তাদের বেশির ভাগই এ নিয়ে মজা করেছেন, রক্ষণশীল সউদি নিয়মকানুন নিয়ে হাসিঠাট্টা করেছেন।

কেই কেউ সউদি আরবে আরো স্বাধীনতার দাবি করেছেন।

অনেকে মিশেল ওবামার একটি ছবি শেয়ার করেছেন – সেখানে দেখা যাচ্ছে ২০১০ সালে মালয়েশিয়া সফরে গিয়ে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মাথায় স্কার্ফ পরেছিলেন।

যে টুইটকারীরা মিশেল ওবামার অনাবৃত মাথার সমালোচনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন – তাদের সংখ্যা ছিল তুলনামূলকভাবে অনেক কম।

টুইটকারীদের মাত্র ৩৭ শতাংশ ছিলেন সউদি আরবের লোক। বেশির ভাগই মার্কিনী, এবং তারা সউদি আরবের ঐতিহ্যের সমালোচনা করেছেন।

তুলনায় বরং অন্য একটি বিষয় নিয়ে টুইটারে অনেক বেশি কথাবার্তা হয়েছে। সেটা হলো সউদি আরবের নতুন বাদশাহ সালমান কিভাবে নামাজের সময় হয়ে যাওয়াতে প্রেসিডেন্ট ওবামাকে ফেলে রেখে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন।

এ নিয়ে টুইট হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি।

অনেকেই এজন্য বাদশাহ সালমানের প্রশংসা করেছেন।

সুত্রঃ বিবিসি