মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে আগামীকাল শনিবার কারাগারে যাবেন তার পরিবারের সদস্যরা।
শুক্রবার বিকেলে মুঠোফোনে কামারুজ্জামানের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামীও সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাসান ইকবাল জানান, প্রতি মাসে নিয়মিত সাক্ষাতের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পরিবারের অনেকেই সাক্ষাৎ করতে যাবেন। সাক্ষাতের জন্য এরই মধ্যে কারা কর্তৃপক্ষের অনুমোদনও নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী জানান, আসামির স্বজনরা প্রতি মাসে একবার সাক্ষাতের সুযোগ পেয়ে থাকেন। সে অনুযায়ী গত ২৮ জানুয়ারি কামারুজ্জামানের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাৎ করেছেন। আগামীকাল ২৮ ফেব্রুয়ারি তারা দেখা করতে আবেদন করেছেন। সাক্ষাতের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ কামারুজ্জামানের আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় দেন।
এর আগে গত বছরের ৩ নভেম্বর কামারুজ্জামানকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখে এ রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।
তারও আগে ২০১৩ সালের ৯ মে কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
রায়ের কপি ট্রাইব্যুনালে পৌঁছার পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলীসহ চারজন কামারুজ্জামানের কনডেম সেলে গিয়ে পরোয়ানা পড়ে শোনান। কামারুজ্জামান তাদের কাছে আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা বলেন।
এরপর গত ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় কামারুজ্জামানের পাঁচ আইনজীবী সাক্ষাত করতে কারাগারে প্রবেশ করেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর কারাগার থেকে বেরিয়ে তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কামারুজ্জামান আপিল বিভাগে রিভিউ করবেন। এখন রিভিউ করার অপেক্ষায় রয়েছেন।