Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

প্রিপেইড মিটারের আওতায় আসছে ঢাকার গ্যাস বিতরণ

gasরাজধানীর গ্যাস বিতরণ ব্যবস্থাকে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রাথমিকভাবে এ ব্যবস্থার আওতায় আসবে দুই লাখ গ্রাহক। কয়েক ধাপে রাজধানীর প্রায় ১৮ লাখ গ্রাহককেই প্রিপেইড মিটার দেবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। এজন্য পরিকল্পনা কমিশনের কাছে ৭১৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল)।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে রাজধানীর বাড্ডা, গুলশান, তেজগাঁও, ক্যান্টনমেন্ট, মিরপুর, কাফরুল, খিলক্ষেত, উত্তরখান, দক্ষিণখান, উত্তরা, পূর্বাচল ও ঝিলমিল এলাকায় প্রায় দুই লাখ প্রিপেইড মিটার দেয়া হবে। বর্তমানে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে মোহাম্মদপুরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রায় চার হাজার প্রিপেইড মিটার চালু রয়েছে। পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সফল হওয়ায় রাজধানীর পুরো ১৮ লাখ গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) ও এডিবির সঙ্গে অর্থায়নের আলোচনা চলছে।

chardike-ad

প্রকল্প পরিচালক অনিমেষ চাকমা এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, রাজধানীর ১২টি এলাকায় চালু হচ্ছে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার। এসব এলাকার দুই লাখ গৃহস্থালি এ পদ্ধতিতে গ্যাস বিল পরিশোধ করতে পারবে। এতে অপচয় রোধের মাধ্যমে সিস্টেমলস কমে আসবে। পর্যায়ক্রমে রাজধানীর সব গ্রাহককে প্রিপেইড গ্যাস মিটার দেয়া হবে।

‘ইনস্টলেশন অব প্রিপেইড গ্যাস মিটার ফর টিজিটিডিসিএল ন্যাচারাল গ্যাস ইফিশিয়েন্সি’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় রাজধানীতে প্রিপেইড গ্যাস মিটার ব্যবস্থা চালু করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭১৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ২৩৬ কোটি ৭৪ লাখ, জাইকার ঋণসহায়তা থেকে ৪৫৩ কোটি ও বাস্তবায়নকারী সংস্থা টিজিটিডিসিএলের নিজস্ব তহবিল থেকে ২৯ কোটি টাকার সংস্থান হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় উপস্থাপন করা হবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, টিজিটিডিসিএল আওতাভুক্ত এলাকায় আবাসিক সংযোগে উন্নত ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর প্রিপেইড মিটার স্থাপনের মাধ্যমে গ্যাস সাশ্রয় এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তার জন্য প্রকল্পটি প্রণয়ন করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর শুরু করে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করবে টিজিটিডিসিএল। এরই মধ্যে জাইকা একটি প্রস্তুতিমূলক জরিপ করেছে। জরিপের ফল ও সুপারিশ অনুযায়ী প্রকল্পটি নেয়া হচ্ছে।

পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য এসএম গোলাম ফারুক বলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প প্রস্তাব পাওয়ার পর গত বছরের ১৭ নভেম্বর মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়। প্রকল্পটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে ভূমিকা রাখবে। তাই এটি অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।

গত বছরের শেষ দিকে রাজধানীর পাঁচ এলাকায় বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার চালু করতে একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছিল একনেক। এবার দেয়া হচ্ছে গ্যাসে প্রিপেইড মিটার প্রকল্প। এটি বাস্তবায়ন হলে কোনো প্রকার বকেয়া ছাড়াই শতভাগ রাজস্ব অগ্রিম আহরণ, গতানুগতিক মিটার রিডার ছাড়াই নির্ভরযোগ্য, উন্নততর ও ঝামেলামুক্ত বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা, গ্রহক প্রান্তে অনুমোদিত লোডের বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারপ্রবণতা রোধ এবং সে অনুযায়ী ডিমান্ড সাইড লোড ম্যানেজমেন্ট কার্যকর করা সম্ভব হবে। বণিকবার্তা।