Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাংলাদেশে আট বছর আগের পুনরাবৃত্তি?

the economistবাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা আট বছর আগের পরিণতিতে গিয়ে ঠেকবে বলে ধারনা করছে দি ইকোনমিস্ট। ২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে পত্রিকাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের অনমনীয় মনোভাব সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। পত্রিকাটি মনে করে, বিএনপি আহূত পরিবহন অবরোধ চলমান অস্থিরতাকে বাড়িয়ে তুলছে, আগুন দেয়ার ঘটনায় আহতরা হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ভর্তি করে চলেছে, অবরুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হচ্ছে। সেনাবাহিনী এ পরিস্থিতিতে তাদের হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে পারে।

‘দি ইকোনমিস্ট এক্সপ্লেইন’ বিভাগের প্রকাশিত এ প্রবন্ধের শিরোনাম দেয়া হয় ‘হোয়াই বাংলাদেশ’স পলিটিকস আর ব্রোকেন।’ সেখানে বলা হয়, জাতিসংঘের শান্তি মিশনে সেনাবাহিনী তাদের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে নিজেদের ভূমিকার বিষয়ে সতর্ক থাকবে। কিন্তু এটাই জোর অনুমান যে, সরকার রাজনৈতিক সংকট হিসেবে এখনকার পরিস্থিতিকে মোকাবেলা এবং অবাধ নির্বাচনের বিষয়ে আগ্রহী হবে না। এ অবস্থায় ‘জেনারেলরা’ মনে করতে পারেন, যা তারা আট বছর আগে করেছিলেন। বিদ্যমান সংকট নিরসনে তারা উদ্যোগী হবেন, যাতে কোনো পক্ষের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

chardike-ad

প্রবন্ধে আরো বলা হয়, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি এর আগেও সমঝোতায় আসতে না পারায় ‘তৃতীয় শক্তির’ অভ্যুত্থান ঘটেছিল। রাজনৈতিক বিরোধের মধ্যেও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন বাধাহীন আছে বলে লেখায় মন্তব্য করা হয়। দুই দলের নেত্রীর মধ্যে ‘ব্যক্তিগত রেষারেষি’ আছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।

খালেদা জিয়ার বিষয়ে বলা হয়, চীনকে দেশের অভ্যন্তরে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন এবং চরমপন্থী ইসলামের বিষয়ে নমনীয় ভূমিকা রাখার কারণে ভারত এবং পশ্চিমের দেশগুলোর অনাস্থা রয়েছে তার ওপর। অন্যদিকে শেখ হাসিনা বিষয়ে বলা হয়, তার সময়ে দেশে কোনো জঙ্গি হামলা হয়নি, যা তার বড় অর্জন।

খালেদা জিয়াকে গুলশান কার্যালয়ে আটকে রাখা, সেখানকার বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া, বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, আত্মগোপনে থাকা, ৫০-এর অধিক ব্যক্তির মৃত্যু ইত্যাদি বিষয়ও প্রবন্ধে তুলে ধরা হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তত্কালীন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। এর পর তার সরকার বিলুপ্ত করে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমদকে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেন। ফখরুদ্দীন আহমদ সরকার প্রতিষ্ঠার পেছনে সেনাবাহিনীর প্রধান ভূমিকা ছিল বলে দেশ-বিদেশের পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। বিরোধী দলগুলোর সহিংস প্রতিবাদের মুখে ২০০৬ সালের শেষার্ধে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ছিলেন। বণিকবার্তা।