Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রাতের খাবারে দেরি, স্মৃতি নষ্টের আশঙ্কা

eat-nightকাজের চাপ কি ক্রমশ বাড়ছে?
খাওয়া-দাওয়ার আর আগের মতো মন দিতে পারছেন না?
কখনো কি এমন হচ্ছে যে, রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়েন তখন খেতে বসছেন আপনি?
তাহলে সাবধান হোন।
কারণ ইতোমধ্যেই অনেকটা দেরি করে ফেলেছেন৷
আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্তত্ত্ব বিভাগে গবেষণারত ক্রিস্টোফার কলওয়েল জানান, রাতের খাবারের সময় যদি পিছাতে পিছাতে ক্রমশ গভীর রাতের দিকে গড়ায়- তা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়৷ এমন ঘটনা দিনের পর দিন ঘটতে থাকলে আমাদের স্মৃতিভ্রংশ হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি৷
শুধু যে মনে রাখার ক্ষমতা কমে যেতে পারে তা-ই নয়, একই সাথে দেখা দিতে পারে অন্য নানা ধরনের স্নায়বিক গোলযোগও৷
দৈনন্দিন জীবনে আমাদের প্রতিদিনই কিছু না কিছু শিখে নিতে হয়৷ কিন্তু রাতের খাওয়া অনিয়মিত হলে আমাদের মগজের গ্রহণ ক্ষমতাও কমতে থাকে৷
কলওয়েল বলেন, ‘আমাদের মনে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে যে, যেকোনো সময়েই বোধ হয় একটু খেয়ে বা ঘুমিয়ে নেয়া যায়৷ কিন্তু এই তত্ত্ব যে কত ভুল, সে বিষয়ে আমাদের কোনো ধারণা নেই।’
গবেষক বলছেন, শুধু মানুষেরই নয়, যেকোনো প্রাণীর দেহ একটি শারীরিক ঘড়ির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়৷ বর্তমান ‘জেট এজ’- এ আমরা শরীরের ওপর চূড়ান্ত অত্যাচার করি৷ খাওয়ার বা ঘুমোনর জন্য ন্যূনতম যে সময় দেয়া দরকার, তা দেই না৷ এরই মূল্য দিতে হয় শরীরকে৷
নিজের বক্তব্যের প্রমাণে কলওয়েল দুই ধরনের ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালান।
একদলকে নির্দিষ্ট সময় খেতে দেন, অন্য দলকে ঘুমোনর সময় খেতে দেয়া হয়৷ দেখা যায়, যে দলটির খাওয়ার সময়ে গাফিলতি করা হয়েছে, তাদের স্মৃতি সহজেই নষ্ট হয়ে যায়৷