Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আইসিসিতে আপিল করতে বিসিবিকে লিগ্যাল নোটিস

India-vs-Bangladesh

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি, ক্রিকেট টিমের ম্যানেজার ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে একটি লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোটে ইউনূস আলী আকন্দ মঙ্গলবার এই লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান।

chardike-ad

১৯ মার্চ মেলবোর্নে বাংলাদেশ-ভারত কোয়ার্টার ফাইনালে আম্পায়ারদের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপিল করার জন্য এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

একই সঙ্গে, আইসিসির কাছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের গুডউইল নষ্ট করার দায়ে দ্বিগুন ক্ষতিপুরণ দাবি করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই নোটিশে। উল্লিখিত সময়ের মধ্যে যদি আপিল না করা হয়, তাহলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যেন আপিল করা হয়, সে জন্য আদালতের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হবে বলেও জানানো হয় নোটিশে।

আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ বলেন, ‘আমি একজন দর্শক হিসেবে আম্পায়ার আলিম দার এবং ইয়ান গোল্ডের সিদ্ধান্তগুলো দেখে মর্মাহত হয়েছি। অন্তত তিনটি সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। বাংলাদেশকে হারানোর পেছনে আইসিসি এবং আম্পায়ারের ষড়যন্ত্র ছিল বলে আমার কাছে মনে হয়। এজন্য আমি লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোয়ার্টার ফাইনালের ওই ম্যাচে তামিম ইকবাল, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের আউট এবং রুবেলে হোসেনের বলকে নো ডেকে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশকে ইচ্ছাকৃতভাবে হারানো হয়েছে। রোহিত শর্মাকে করা রুবেল হোসেনের বলটি কোনভাবেই নো ছিল না।’

ইউনূস আলী আকন্দ বলেন, ‘আইসিসি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের ম্যাচ ২১ তারিখ থেকে পরিবর্তণ করে ১৯ তারিখে নিয়ে এসেছিল। বাংলাদেশের ম্যাচটি নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হলো মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।’

উল্লেখ্য, ১৯ মার্চ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড এবং আলিম দারের বেশ কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেন। যে কারণে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ১০৯ রানে পরাজয় বরণ করে। বাজে সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে ছিল, রোহিতকে করা রুবেল হোসেনের একটি বল ‘নো’ ডাকা। যে বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হয়েছিলেন রোহিত শর্মা। ওই সময় তিনি ছিলেন ৯০ রানে। দলীয় রান ছিল ১৯৫। শেষ পর্যন্ত রোহিত আউট হন ১৩৭ রান করে। ভারতের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় শেষ পর্যন্ত ৩০২ রান।

শুধু তাই নয়, আইসিসির রেকর্ড থেকে রুবেল হোসেনের ওই তথাকথিত ‘নো’ বলটির হক-আই ভিউ ভিডিওটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যা রীতিমত সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। ওই বলটি যে ‘নো’ ছিল না, সাথে সাথেই তাবৎ ক্রিকেট দুনিয়া রায় দিয়েছিল। কিন্তু আম্পায়াররা ইচ্ছাকৃতভাবে সিদ্ধান্তটা দিলেন ভারতের পক্ষে।

এছাড়া ৩০ রানে থাকা সুরেষ রায়নার একটি এলবিডব্লিউ আউট দেয়নি আম্পায়াররা। রিভিউ নেওয়ার পর সেটিকে টিভি রিপ্লেতে ভালোভাবে না দেখিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত রায়না আউট হন ৬৫ রানে। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময় তামিম ইকবালকে বিতর্কিত আউট দেওয়া হয়। রিপ্লে ভালোভাবে না দেখে সিদ্ধান্ত দিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া বাংলাদেশের ইনফর্ম ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে বিতর্কিতভাবে আউট দেন টিভি আম্পায়ার স্টিভ ডেভিস।

অথচ, শিখর ধাওয়ান ক্যাচটি ধরেছিলেন বাউন্ডারি লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে। ছক্কা হয়ে যাওয়া বলটিতে মাহমুদুল্লাহকে আউটের সিদ্ধান্ত দিয়ে বাংলাদেশকেই হারিয়ে দিয়েছে আম্পায়াররা।