সিউলের অভিবাসী কর্মীরা মাসে গড়ে ২০ লাখ উওনের কম (১৮শ’ মার্কিন ডলার) উপার্জন করে থাকেন। সিউল নগর সরকারের এক সাম্প্রতিক জরিপ বলছে প্রতিদিন গড়ে ১১ ঘণ্টা শ্রম দিয়ে এসব কর্মী মাসিক গড়ে ১৮ লাখ ৯০ হাজার উওন করে আয় করছেন।
বিদেশী কর্মীদের অবস্থার উন্নতির প্রয়াসে সিউলে অবস্থানরত ৭০০ অভিবাসী কর্মীর উপর এ জরিপ চালানো হয়। কোরিয়ার রাজধানী শহরটিতে এই মুহূর্তে বিদেশী চাকুরীজীবীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ১৫ হাজার যার মধ্যে ৯০ হাজার দিনমজুর ও সেবামূলক খাতে কাজ করছেন।
এদের মধ্যে অর্ধেকেরই আয় ১৫ থেকে ২০ লাখ উওনের মধ্যে। ৩০ শতাংশের আয় ২০ লাখ উওনের উপরে আর বাকিদের ১৫ লাখের নীচে।
জরিপে অংশ নেয়াদের ৪৬ শতাংশ জানান যে তাঁরা প্রচুর উপার্জনের প্রত্যাশায় সিউল এসেছিলেন। বাকিদের কেউ পরিচিত কারও সূত্র ধরে আবার কেউবা স্রেফ দেশটির প্রতি ভালোলাগা থেকে কোরিয়ায় আসার কথা জানান।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির ভিত্তিতে তাদের সামগ্রিক জীবন মানকে ৫-এর মধ্যে ৩.৫৭ দেয়া হয়েছে।
কোরিয়ায় প্রবাস জীবনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে অর্ধেকই চিহ্নিত করেছেন ভাষাগত সীমাবদ্ধতাকে। কুসংস্কার আর বিদেশীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতি আঙ্গুল তুলেছেন ৪০.১ শতাংশ অভিবাসী।
এসব মতামতের ভিত্তিতে বিদেশী কর্মীদের আরও কার্যকর সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে তাঁদেরকে এখানে মানিয়ে নিতে সাহায্য করা হবে বলে নগর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। কোরিয়া হেরাল্ড।