Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ছেলেকে ফিরিয়ে দিন, না হয় আমাকে গুলি করে মেরে ফেলুন

mehedi-hasanআমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিন। তা না হয় আমাকে গুলি করে মেরে ফেলুন। আমার পরিবারকে হত্যা করুন। এভাবে আর বেঁচে থাকা যায় না।
আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া তিতুমীর কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র মেহেদী হাসান রুয়েলের অসহায় মা আনজুমান আরা প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজি ও র‌্যাব মহাপরিচালকের কাছে এ আর্তি জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার সন্তানের কী অপরাধ আমি জানি না। তবে এটুকু জানি সে কলেজে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ছিল। কেন তাকে এভাবে গুম করা হলো?
আনজুমান আরা বলেন, আমি মা। আমি জানি আমার হৃদয়ে কতো দু:খ-কষ্ট। আর কত মায়ের বুক খালি হলে দেশে শান্তি আসবে?
তিনি জানান, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা ১৫ মিনেটে যমুনা ফিউচার পার্কের দ্বিতীয় তলা থেকে ডিবি পরিচয়ে সাদা পোশাকধারীরা মেহেদী ও তার কলেজের ছোট ভাই শুভকে তুলে নিয়ে যায়। এয়ারপোর্টর কাছে শুভকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিলেও মেহেদীকে গত ৬ দিনেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে পুলিশ, র‌্যাব, ডিবির কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও তারা কোনো সন্ধান দিতে পারেনি। থানা পুলিশ জিডি নিতেও গড়িমসি করেছে।
ছেলে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করতো জানিয়ে তিনি বলেন, সবার চোখের সামনে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গেলেও এখন অস্বীকার করছে। পুলিশও তার কোনো তথ্য জানে না। তাহলে আমার সন্তান কোথায়?
আনজুমান আরা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, যখন টিভিতে দেখি বিভিন্ন জায়গায় লাশের মিছিল তখন আমার হৃদয় কেঁদে ওঠে। ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে কোনো লাশের খবর শুনলে সেখানে ছুটে যায় আমার ছেলেরা। অস্থিরতার মধ্য দিয়ে আমাদের প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে। মেহেদী কোথায়? আমার খোকা কবে আসবে?
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, মেহেদীর ভাই মাহমুদুল হাসান, জুয়েল, বোন মাহমুদা আক্তার, দুলাভাই হায়দার আলী প্রমুখ।