Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

উনারা ছাত্রলীগ! তাই…

chatraleeg

ছাত্রলীগ নেতারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানী! যে পুলিশ এসব সম্মানীদের চেনে না তাদের আবার দরকার কী! এসব পুলিশের ওপর ককটেল হামলা করাই উচিত!- এটা কোনো ছাত্রলীগ নেতার বক্তব্য নয়। সহযোগিতার পরিবর্তে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর ওপর হামলার প্রত্যক্ষদর্শী ক্ষুব্ধ কয়েকজন সাধারণ মানুষের মন্তব্য।

chardike-ad

রোববার সন্ধ্যায় ফেনীর দাগনভূঞায় অবৈধ যানবাহন তল্লাশির সময় ছাত্রলীগ নেতার মোটরসাইকেল আটক করে পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হন ওই ছাত্রলীগ নেতাসহ তার সমর্থকরা। এসময় ঘটনার প্রতিবাদে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। এতে পুলিশের দুই কনস্টেবলসহ আহত হয়েছে তিনজন।

না, এটা তুচ্ছ ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তার শার্টের ধরে লাঞ্ছিত করা নয়। কিংবা খোদ থানার ভেতরে ঢুকে কোনো কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করার মতো ঘটনাও নয়। আবার গায়ে গা লাগার অপরাধে প্রকাশ্যে ক্যাম্পাসে জবির শিক্ষিকাকে সজোরে চড় মেরে ওড়না টানাটানার মতোও ঘটনা নয়। যেসব ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতার ওপর কিছুটা ক্ষুব্ধ হতে পারে মানুষ।

দাগনভুঞা থানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য জানায়, সন্ধ্যায় উপজেলা জিরো পয়েন্টে অবৈধ মোটরসাইকেল আটকের অভিযান চালানো হচ্ছিল। এসময় দাগনভূঞার ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসবি রায়হানের মোটরসাইকেল আটক করা হয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানো নিয়ে ওই নেতা পুলিশের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা পুলিশ সদস্যদের ওপর ককটেল ছুঁড়ে মারে। এতে দায়িত্বরত কনস্টেবল হোসেন টিপু, ইকবাল হোসেনসহ দাগনভুঞা উপজেলা অটোরিকশা ইমা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাফর উল্যাহ আহত হন।

পরে স্থানীয়রা দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

আহত দুই কনস্টেবল জরুরি দায়িত্ব পালনে খাগড়াছড়ি থেকে দাগনভূঞায় এসেছেন। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের এ কাণ্ডে হতভম্ব তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, প্রত্যেক পুলিশকে ছাত্রলীগ নেতাদের চিনে রাখা উচিত। না হলে তাদের ওপর আইনের প্রয়োগ করতে গিয়ে নাজেহাল হতে পারেন। কেননা, ছাত্রলীগের এসব আচরণ-আচরণ দেখে ধারনা করা যেতে পারে তারা আইনের ঊর্ধ্বে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ফয়সাল জানান, পুলিশের একটি দল নিয়মিত দায়িত্ব পালনের সময় ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে আটক করা যায়নি।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

জানতে চাইলে দাগনভুঞা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নাসের চৌধুরী আশিক  জানান, ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী পুলিশের ওপর হামলা করেছে- এমন কোনো বিষয় তিনি জানেন না।