Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কুয়াকাটা কেন এত বিখ্যাত?

kuakata

কুয়াকাটা হলো দক্ষিণ এশিয়ায় একটিমাত্র সমুদ্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়। সমুদ্রের পেট চিরে সূর্য উদয় হওয়া এবং সমুদ্রের বক্ষে সূর্যকে হারিয়া যাওয়ার দৃশ্য অবলোকন করা নিঃসন্দেহে ভাগ্যের ব্যপার। কুয়াকাটায় সূর্যোদয় দেখার জন্য ঝাউবনে যাওয়াই ভালো। সকাল বেলা হেটে হেটে ঝাউবনে যেতে সময় লাগবে ২০ মিনিট। আর ভ্যানে বা রিকশায় গেলে লাগবে ১০ মিনিট। সেখানে সারি সারি গাছ নিঃসন্দেহে একজনের মন ভালো করে দিবে।

chardike-ad

যা যা রয়েছে :
সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য প্রায় ১ কিলোমিটারের বেশি। সমুদ্র সৈকতে গেলেই দেখা যাবে সারি সারি কাঠের বেড আর রোদ থেকে রক্ষা পাওয়ার ছাতা। এ সকল বেড ভাড়া প্রতি ঘন্টা ২০ টাকা। সমুদ্র দিনের বেলা সাধারণত আশেপাশের শব্দের কারণে গর্জন শোনা যায় না। সমুদ্রের যে একটা ভয়ংকর রূপ আছে তা বোঝা যায় রাতে।

দর্শণার্থী ও ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য এই সৈকতে আছে ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল ও ঘোড়া। ভাড়া সাধারণত দূরত্ব ও সময় অনুযায়ী হয়। কুয়াকাটার আশে পাশের বেশ কয়েকটি চর আছে। সেগুলি দেখতে একজন যেতে পারেন স্পিডবোট ও ট্রলার কিংবা ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকায় করে। কুয়াকাটায় সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পট রয়েছে। সেগুলিতে রান্না করার সকল ব্যবস্থা আছে। চুলা, খড়ি, হাড়ি, পাতিল থেকে বাবুর্চি পর্যন্ত। তবে সবকিছুর জন্য টাকাতো লাগবেই।

যাওয়ার উপায় :
ঢাকা থেকে বেশ কয়েকটি বাস এখন সরাসরি কুয়াকাটা যায়। ঢাকা থেকে সাকুরা পরিবহন ছাড়াও বিআরটিসি পরিবহনের বাস সরাসরি কুয়াকাটায় যায়। এসব বাসে গেলে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে ২০০ মিটার দূরে নামিয়ে দিবে। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা বাসে যেতে মোট সময় লাগে প্রায় ১২/১৩ ঘন্টা।

থাকার ব্যবস্থা :
কুয়াকাটা বীচের পাশের বাধের রাস্তার দুপাশে এবং মেইন রোডের আশে পাশে অনেক হোটেল, মোটেল ও বাংলো পাবেন। এছাড়া প্রায় ৫০/৬০টি ব্যক্তি উদ্যোগের হোটেল ও মোটেল আছে। এ সকল হোটেলে ও মোটেলে ভাড়া ১৫০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও সেখানে দুটি সরকারি ডাকবাংলো আছে। একটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অপরটি এলজিইডি মন্ত্রানালয়ের অধীনে। সরকারি কর্মকর্তারা আগে থেকে যোগাযোগ করলে পেয়েও যেতে পারেন এই দুটোর একটি।

দোকানপাট :
কুয়াকাটায় সীমিত সংখ্যক দোকান আছে। এগুলোর প্রায় সবগুলোই সৌখিন জিনিসপত্রের দোকান। এখানে দাম অপেক্ষাকৃত একটু বেশি হলেও অনেক নতুন নতুন আইটেম পাওয়া যায়। কুয়াটায় শুটকি পল্লী থাকায় এখানে অনেক কম দামে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের শুটকি পাওয়া যায়।

স্বপরিবারে বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুরে আসুন কুয়াকাটা। শামুক-ঝিনুকের তৈরী বিভিন্ন সৌখিন দ্রব্যাদি, রাখাইনদের তৈরী চাদর, কাপড়, ওড়না ইত্যাদিও পাবেন একটু কম দামে। তবে আর দেরি নয়, দেশের এই স্থিতিশীল অবস্থা থাকতেই সময় করে ঘুরে আসুন কুয়াকাটা।