বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে জেলহাজতে পাঠানোর ৬ ঘণ্টা পর শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়ায় তাকে আবারো হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে গতকাল বুধবার সালাহ উদ্দিন আহমদকে ১৪ দিনের জেল হাজতে পাঠায় সেখানকার আদালত।
সালাহ উদ্দিন আহমদের স্ত্রী হাসিনা আহমদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার হাসপতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বুধবার দুপুরে সালাহ উদ্দিন আহমদকে স্থানীয় আদালতে তোলা হয়। আদালত তাকে দুই সপ্তাহের আইনী হেফাজতে (কারাগারে) পাঠানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু বুধবার রাতে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়ায় তাকে আবারো নেগ্রিমস হাসপাতালে নেয়া হয়।
জানা গেছে, সালাহ উদ্দিন আহমেদ বুকের ব্যথার পাশাপাশি নতুন করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদের বরাত দিয়ে একটি সূত্র জানায়, সালাহ উদ্দিন আহমদের জামিন চেয়ে তার স্ত্রীর আবেদনের শুনানি আগামীকাল শুক্রবার স্থানীয় আদালতে অনুষ্ঠিত হবে।
দুই মাস ‘নিখোঁজ’ থাকার পর গত ১১ মে ভারতের শিলংয়ে উদভ্রান্ত অবস্থায় সালাহ উদ্দিন আহমেদের খোঁজ পাওয়া যায়। কিন্তু তিনি কিভাবে শিলংয়ে গেলেন তা নিয়ে নতুন রহস্য তৈরি হয়েছে, যা এখনও উন্মোচিত হয়নি।
গত ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরার একটি বাড়ি থেকে সালাহ উদ্দিনকে তুলে নেয়া হয় বলে তার পরিবার দাবি করে আসছে।
হাসপাতালে সালাহ উদ্দিন স্ত্রীকে জানান, তিনি স্বেচ্ছায় ভারতে ঢোকেননি। চোখ-হাত বেঁধে তাকে শিলংয়ে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছিল।