Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিশ্বে না খেয়ে ঘুমায় ৮০ কোটি মানুষ

Hungryপৃথিবীর বর্তমান জনসংখ্যা ৭০০ কোটির বেশি। এদের মধ্যে প্রায় ৮০ কোটি মানুষ না খেয়ে রাত্রিযাপন করে; যা মোট জনসংখ্যার ১১ শতাংশ (প্রায়)। জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচির (এফএও) বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

গতকাল বুধবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্ষুধার্ত মানুষের হার ক্রমান্বয়ে কমছে। এমনকি গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেকে অবস্থান করছে।

chardike-ad

এতে আরও বলা হয়েছে, এফএও’র পর্যবেক্ষণে থাকা ১২৯টি দেশের মধ্যে মোট ৭২টি দেশ ক্ষুধা দূরীকরণে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে। এর মধ্যে অন্যতম উদাহরণ বাংলাদেশ।

এফএও’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯২ সালে বিশ্বের ১০০ কোটির বেশি মানুষ না খেয়ে রাত্রিযাপন করতো; মোট জনসংখ্যার ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এখন এই সংখ্যা অনেক কমেছে। ৭৯ কোটি ৫০ লাখ বা মোট জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ মানুষ প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার পাচ্ছে না।

রোমভিত্তিক এই সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯০ থেকে ৯২ সালে বাংলাদেশে ৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষ সুস্থ জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার পেতো না; যা মোট জনসংখ্যার ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সালে তা কমে ২ কোটি ৬০ লাখ হয়েছে, যা মোট জনসংখ্যার ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ ১৫ বছরের ব্যবধানে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে।

এক বিবৃতিতে এফএও’র মহা পরিচালক হোসে গ্রাজিয়ানো ডা সিলভা বলেন, গত ১৫ বছরে বিশ্বের ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ২১ কোটি ৬০ লাখ কমেছে। সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সাম্প্রতিক সাফল্য বজায় থাকলে হয়তো আমাদের জীবদ্দশাই ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব দেখতে পারবো। এখন আমাদের লক্ষ্য, ‘জিরো হাঙ্গার জেনারেশন’।

আন্তর্জাতিক কৃষি তহবিলের প্রেসিডেন্ট কানাইয়ো এফ নোয়ানজি বলেন, আমরা যদি সত্যিই ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্তি একটি বিশ্ব চাই, তাহলে সবার আগে আমাদের উন্নয়নশীল দেশগুলোর পল্লী এলাকার পরিস্থিতির উন্নয়নে মনোযোগ দিতে হবে। কেননা সেখানেই বিশ্বের অধিকাংশ গরিব মানুষের বসবাস।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষুধা নিবারণে এমন সাফল্য এসেছে। তবে বিশ্ব অর্থনীতির স্লথ গতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং গৃহযুদ্ধ অনেক দেশের সহস্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাধাগ্রস্ত করেছে।

সৌজন্যেঃ অর্থসূচক