হিমালয়ের পাদদেশে যে গ্রামগুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সুন্দরতমগুলোর একটি বলে মনে করা হতো ল্যাংট্যাংকে।
কিন্তু গ্রামটি এখন বর্ণনাতীত এক ভৌতিক চেহারা পেয়েছে। বিবিসির সংবাদদাতা জাস্টিন রোল্যাট সেখানে পৌঁছান একটি হেলিকপ্টারে চড়ে। তিনিই গ্রামটিতে পৌঁছানো প্রথম কোন সাংবাদিক।
গ্রামটিতে মোট ৪৩৫ জন মানুষের বসতি ছিল। কিন্তু এখন সেখানে কার্যত কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। বিশ্বাস করা কঠিন, গ্রামের ৫৫ টির মতো হোটেল ও অতিথিশালা-সহ সব ঘরবাড়ি পাহাড় থেকে নেমে আসা বরফ আর পাথরের নিচে একেবারেই চাপা পড়েছে।শুধুমাত্র একটি ঘর টিকে আছে।
সংবাদদাতা দেখতে পান, উদ্ধার-কর্মীরা মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে এসে এক জায়গায় জড়ো করছেন। তারা মৃতদেহগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করছেন, একপাশে রাখছেন গ্রামবাসীদের মৃতদেহ, আরেক পাশে বিদেশীদের। তখন পর্যন্ত ৫২টি গ্রামবাসীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন বিদেশী।
সংবাদদাতার সামনেই উদ্ধার-কর্মীরা আরেকটি মৃতদেহ উদ্ধার করে আনলেন ধ্বংসস্তূপ থেকে। একজন তরুণী পর্যটকের মৃতদেহ। ধারণা করা হচ্ছে গ্রামটিতে তিনশ’র বেশী মানুষ মারা গেছে। এদের অর্ধেকই বিদেশী পর্যটক।
উদ্ধারকারীদের দলটি বলছিলেন, সবগুলো মৃতদেহ উদ্ধার করে আনতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।
সুত্রঃ বিবিসি