Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সনদ হাতে পেয়েই চির বিদায় নিলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

jenifahস্নাতকের সনদ হাতে পাওয়া একজন শিক্ষার্থীর জীবনে অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষার ব্যাপার। অনেক আশা থাকে জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় কর্তাদের হাত থেকে সনদ গ্রহণ করার। এমনই খুশির দিন হতে পারতো বাংলাদেশি আমিনাহ জেনিফাহর জীবনে। কিন্তু সনদ হাতে পাওয়ার পরই তিনি চলে যান না ফেরার দেশে।

শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের আর্লিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনই একটি ঘটনা ঘটে। আমিনাহ জেনিফাহের আত্মীয় শাহিনা আহমেদ জানান, `স্টেজে আমরা তার হাটা দেখছিলাম। জোরে জোরে চিৎকার করে উৎসাহ দিচ্ছিলাম।`

chardike-ad

বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান ও বাণিজ্য অনুষদের সনদগ্রহণ করেন আমিনাহ। আমিনাহর পরিবার ও বন্ধুরা জানান, স্টেজে তাকে খুবই স্মার্ট এবং সুন্দর দেখাচ্ছিল। কিন্তু এদিন আমরা খুব কষ্ট পাবো এটা জানা ছিল না।

সনদগ্রহণের মাত্র কিছুক্ষণ পরই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন আমিনাহ জেনিফাহ। আমিনাহর বাবা শামসুল আহমেদ জানান, আগের দিন কোনো ধরনের লক্ষণ চোখে পড়েনি। শুধুমাত্র মাথাব্যথা ও বমি বমি ভাব ছিল। এটুকুই, এর বেশি কিছু না।

চিকিৎসকরাও নিশ্চিত করতে পারেননি কী হয়েছিল আমিনাহর। তবে তারা জানিয়েছেন, ব্রেইনের সমস্যায় ভুগছিলেন আমিনাহ। এটা সব সময় অগোচরেই থেকে গেছে।

আমিনাহর বন্ধুরা জানান, বাংলাদেশে বিভিন্ন শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ড ও স্থানীয় মসজিদের উন্নয়ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। অতিসম্প্রতি তিনি দক্ষিণ এশিয়া বিশেষ করে বাংলাদেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য চক্ষু রোগের চিকিৎসার জন্য একটি প্রকল্প চালু করেন। আমিনাহর মৃত্যুর পর পরিবার থেকে ওই প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে `আমিনাহর চোখে`

মৃত্যুর পর পরিবার থেকে আমিনাহর নামে একটি ফান্ড খোলা হয়। দুই দিনে প্রায় ২০ হাজার ডলার জমা হয়েছে তাতে। আমিনাহর বাবা জানালেন, কোনো কিছুই তার মতো ঘনিষ্ঠ হচ্ছে না।