নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিয়ে প্রার্থনার সময় মসজিদে আসা কয়েক’শো মানুষের জীবন বাঁচিয়ে দিলেন দুই বন্ধু। সাহসী মৃত্যুর পর সবার চোখেই রাতারাতি নায়ক ওই দুই সৌদি যুবক মোহাম্মদ হাসান আলি বিন ঈষা ও আব্দুল জলিল আল আরবশ।
সৌদির দামামে ইমাম হুসেন মসজিদের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন দুই বন্ধু। মসজিদের ভিতরে তখন কয়েকশো ধর্মপ্রাণ মানুষ নমাজ পড়ছেন। হঠাৎই হানা দেয় আইএসের আত্মঘাতী বোমাস্কোয়াট। চোখমুখ দেখে সন্দেহ হয় দুই বন্ধুর। তারা সন্দেহজনক ওই ব্যক্তিকে মসজিদে ঢুকতে বাধা দিলে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় ওই মানববোমা। ওই মানববোমার সঙ্গে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই যুবকের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আইএস-এর ওই আত্মঘাতী জঙ্গি মহিলা ছদ্মবেশে মসজিদে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। মসজিদের মূল গেটে তখন স্বেচ্ছাসেবীর দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন দুই বন্ধু। ওই জঙ্গিকে চেক পয়েন্টের সামনে তারা বাধা দিলে সামনেই গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় সে বিস্ফোরণ ঘটায়।
বিস্ফোরণের শব্দ শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মসজিদে আসা মানুষ জন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে ওঠে মসজিদটি। কিছুক্ষণ পর ভয়ার্ত মুখে বাইরে বেরিয়ে তারা জানতে পারেন দুই যুবকের বীরত্বের কথা। প্রাণে বেঁচে তারা সকলেই কুর্ণিশ করেছেন ওই দুই যুবককে। এঁদের চোখে দুই বন্ধুই আজ হিরো। সোশ্যাল সাইটগুলোয় ছড়িয়ে পড়ে দুই বন্ধুর সাহসীকতার কথা।
নিহত দুই দুঃসাহসীর একজন বছর পঁচিশের আব্দুল জলিল সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পড়াশোনা করে ফিরে কয়েক দিন হল বিয়ে করেছিলেন। তার মা সৌদির একটি প্রথমসারির কাগজের নামী লেখক। গত ২২ মে সৌদিরই অন্য মসজিদে এমনই এক বিস্ফোরণে ২১ জনের মৃত্যু হয়।
সৌজন্যেঃ এমটিনিউজ